tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ০৫ জুন ২০২৩, ২০:১৬ পিএম

সন্তান হত্যার মিথ্যা অভিযোগে ২০ বছর জেল খেটে মুক্তি পেলেন মা!


11

অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জঘন্য নারী সিরিয়াল কিলার নামে পরিচিত ক্যাথলিন ফোলবিগ। শুধু তাই নয়, নিজের চার সন্তানকে হত্যার অভিযোগে জীবনের ২০টি বছর জেলেও কাটিয়েছেন তিনি। অথচ এত বছর তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন, মুক্তি পেতে চলেছেন দীর্ঘ দিনের কারাবাস থেকে।


নতুন প্রমাণ পাওয়ার পর বলা হচ্ছে, তিনি তার সন্তানদের হত্যা করেননি। সোমবার (৪ জুন) নিউ সাউথ ওয়েলসের গভর্নর ক্যাথলিনকে ক্ষমা করে দেন ও কারাগার থেকে তাকে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৯৮৯ ও ১৯৯৯ সালের মধ্যে ক্যাথলিনের চারটি সন্তান মারা যায়, যাদের বয়স ১৯ দিন থেকে ১৯ মাস পর্যন্ত ছিল। ২০০৩ সালে চার সন্তানকে হত্যার দায়ে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় ক্যাথলিনকে।

রায়ের পর ২০ বছর তার জেলেই কেটে গেছে। যখন তিনি জেলে যান, তখন প্রমাণিত হয়েছিল, সে তার চার সন্তান- ক্যালেব, প্যাট্রিক, সারা ও লরাকে এক দশকের মধ্যে হত্যা করেছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক এক অনুসন্ধানে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ক্যাথলিনের সন্তানদের মৃত্যু স্বাভাবিকভাবেই হতে পারে।

ইমিউনোলজিস্টদের একটি দল প্রমাণ পান যে, ক্যাথলিনের সন্তানদের মৃত্যু কারণ হতে পারে জেনেটিক সমস্যা। তার ছেলেরা এক ধরনের জেনেটিক মিউটেশনের সমস্যায় ভুগছিল। যেটি অনেকটা ইঁদুরের হঠাৎ শুরু হওয়া মৃগীরোগের মতো।

প্রাথমিক তদন্তের সময় প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেন, ক্যাথলিন তার সন্তানদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। কিন্তু অবসরপ্রাপ্ত বিচারক টম বাথার্স্টের নেতৃত্বে হওয়া নতুন তদন্তের পর প্রসিকিউটররা স্বীকার করে নিয়েছেন, জিন মিউটেশন নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে ওই শিশুদের মৃত্যুর বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন তারা।

নিউ সাউথ ওয়েলসের অ্যাটর্নি জেনারেল মাইকেল ডেলি সোমবার (৪ জুন) ঘোষণা করেন, ক্যাথলিন নিজেউ তার চার সন্তানকে হত্যা করেছেন কি না, তা নিয়ে বাথার্স্টের যুক্তিসঙ্গত সন্দেহ ছিল। ২০ বছর পর ক্যাথলিন ঠিকই নির্দোষ প্রমাণিত হলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাইকেল ডেলি বলেন, এটি তার জন্য ২০ বছরের দীর্ঘ অগ্নিপরীক্ষা ছিল। তিনি খুব শিগগির জেল থেকে মুক্তি পাবেন। আমি তার পরবর্তী জীবনের জন্য শান্তি কামনা করি। ক্যাথলিনের স্বামী ক্রেগ ফোলবিগের প্রতিও সমবেদনা রইলো।

সূত্র: বিবিসি

এবি