ছুটির দিনে ফাঁকা রাজধানীর পথঘাট
Share on:
মহান স্বাধীনতা দিবসের ছুটির কারণে পাল্টে গেছে রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কের চিত্র।
শনিবার (২৬ মার্চ) সকাল থেকেই রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি একেবারেই কম চোখে পড়েছে ।
যেখানে অন্যান্য দিনগুলোতে যানজনের কারণে একঘণ্টার রাস্তা কখনো কখনো দুই থেকে আড়াই ঘণ্টাও লেগে গেছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসা বেশ কিছুদিন ধরে জনজীবন স্বাভাবিক হওয়ায় যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে মনে করা হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় যানজটের মাত্রা যেন চরমে।
কিন্তু আজ (শনিবার) দেখা গেল ভিন্ন চিত্র রাস্তায় যানবাহনের আনাগোনা কম। ব্যস্ততা নিয়ে ছুটে চলা জনস্রোত নেই। সবখানেই অনেকটাই ঢিলেঢালাভাব। ফুটপাত-বাসে মানুষের গাদাগাদি-চাপাচাপি, পথে পথে জটলা নেই। দুই দিনের ছুটিতে কংক্রিটের এ নগরীর রাজপথ এখন অনেকটাই ফাঁকা।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তাঘাটে ছুটে চলা হাজারো মানুষের কোলাহল নেই। নেই যানজটে আটকে থাকা গণপরিবহনের চিত্র। বেশিরভাগ সড়কে রিলাক্স মুডে দেখা যায় যানজট নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ ও সার্জেন্টদের।
রাস্তায় স্বল্পসংখ্যক যানবাহন দ্রুতবেগে গন্তব্য ছুটতে দেখা যায়। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়, গুলিস্তান, পুরানা পল্টন ও প্রেস ক্লাব এলাকা যেখানে প্রতিদিন যানজট লেগেই থাকে সেখানে অনেকটাই সুনসান নিরবতা বিরাজ করছে।
অন্যান্য বছর সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বিশেষ করে টিএসসি এলাকা অসংখ্য মানুষের উপস্থিতিতে সরগরম থাকলেও শনিবার দুপুর নাগাদ তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি। অন্যান্য বছরের মতো মাইকযোগে বঙ্গবন্ধুর ভাষণও বাজতে দেখা যায়নি। সরকারি ছুটির কারণে প্রায় সব মার্কেট, বিপণিবিতান, শপিংমল ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকতে দেখা যায়।
ছুটির দিনে তরুণ-তরুণীদের রিকশা ও মোটরসাইকেলযোগে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনের রাস্তায় কেউ কেউ শাড়ি পড়ে ফুল মাথায় দিয়ে ঘুরে বেড়োতে দেখা গেছে। রাস্তার চারপাশে সারি সারি সবুজ বৃক্ষরাজি। প্রচণ্ড রোদেও এখানে খানিকটা শান্তি মেলে।
কাওরান বাজার এলাকায় বেসরকারি চাকরিজীবী রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা আহমেদ শাহেদ বলেন, অন্যান্য দিন ভোরে ওঠে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য বাসে উঠতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। যানজটের কারণে প্রায়দিনই সময়মতো অফিসে যায় না। কিন্তু আজ মাত্র ১৬ মিনিটে চলে এসেছি। আহারে ঢাকা শহরে সারা বছর যদি এমনভাবে চলাচল করা সম্ভব হতো, কতইনা ভালো হতো।
এইচএন