৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা ওয়েস্ট ইন্ডিজের
Share on:
২০১৪ সালে ঘরের মাঠ সেন্ট ভিনসেন্টে বাংলাদেশের বিপক্ষেই ৪৮৪ রান করে ইনিংস ছেড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গেল ১০ বছরে নিজেদের মাটিতে যা দলীয় সর্বোচ্চ রান হয়ে আছে। এবার সেই বাংলাদেশের বিপক্ষেই আবারও চারশোর বেশি পুঁজি। এবার অবশ্য ৪৫০ রান করেই ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দিয়েছে স্বাগতিক দল।
৫ উইকেটে ২৫০ রান নিয়ে দিন শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ আজ টেস্টের দ্বিতীয় দিনে মাত্র ১১ রান যোগ করতেই হারিয়ে ফেলেছিল আরও ২ উইকেট। এরপরের গল্পটা স্বাগতিকদের দাপটের। বাংলাদেশকে হতাশ করে ৯ উইকেটে ৪৫০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
জাস্টিন গ্রিভস ও কেমার রোচের ১৪০ রানের রেকর্ড অষ্টম উইকেট জুটিই মূলত ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৪৭ রান করে হাসান মাহমুদের শিকার হয়েছেন কেমার রোচ।
অন্যদিকে মাত্র তৃতীয় টেস্ট খেলতে নেমেই ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করার পর ১১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন গ্রিভস। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে হাসান মাহমুদ সর্বোচ্চ তিনটি এবং তাসকিন ও মিরাজ দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন।
অ্যান্টিগায় টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিনে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগের দিনে দারুণ বোলিং করে উইকেটশূন্য ছিলেন হাসান মাহমুদ। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই সাফল্য পেয়ে যান। সকালের সেশনে দুই উইকেট নিয়ে গড়েছেন নতুন ইতিহাস।
দিনের প্রথম ওভারেই আজ হাসান মাহমুদ পেয়েছিলেন উইকেটের দেখা। এলবিডব্লু করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জসুয়া দা সিলভাকে। পরে ক্যারিবিয়ান উইকেটরক্ষক ব্যাটার রিভিউ নিয়েছিলেন। তবে হাসানের ভাগ্যটা ভালো বলতেই হয়। আম্পায়ার্স কলে আউট হন এই ব্যাটার। খানিক পর আবার আঘাত। এরপর ফেরালেন আলজারি জোসেফকে। একই লেন্থে বল ফেলেছিলেন। বল ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় গালি অঞ্চলে। উড়ন্ত ক্যাচ নিয়ে বাংলাদেশের সপ্তম উইকেট এনে দেন জাকির হাসান।
দুই উইকেটের কল্যাণে ইতিহাসে নাম লেখান হাসান। এক ক্যালেন্ডার বছরে বাংলাদেশি পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক এখন হাসান মাহমুদ। ২০২৪ সালেই অভিষেক হয়েছে ক্রিকেটের বনেদি এই ফরম্যাটে। এরপরেই নিজেকে প্রতিনিয়ত প্রমাণ করেছেন লঙ্গার ফরম্যাটে। ক্যারিয়ারের ৮ম ম্যাচে এসে পেয়েছেন ২৫তম উইকেট।
কিন্তু রেকর্ড আর উদযাপনের গল্প এরপর আর বাড়েনি। কেমার রোচ ও জাস্টিন গ্রিভসের জুটিতে বাংলাদেশের হতাশা কেবল বেড়েছে। রোচকে শেষ পর্যন্ত হাসান শিকার বানালেও ততক্ষণে বড় জুটির অংশ হয়ে গিয়েছেন আদতে ক্যারিবিয়ান এই পেসার। অন্যপ্রান্তে যেন উইকেট অটুট রাখার পণ নিয়ে নেমেছিলেন গ্রিভস। শেষ পর্যন্ত রইলেন অপরাজিত।
এসএম