tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ২৫ জুন ২০২৪, ১৫:০৩ পিএম

ছাত্রশিবিরের নেতৃত্বকে সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে হবে : নূরুল ইসলাম বুলবুল


844843_136

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো: নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন,জাতির এই দুর্দিনে ছাত্রশিবিরের নেতৃত্বকে সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা পালন করতে হবে।


সোমবার দিবাগত রাতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্র থেকে সদ্য বিদায়ী ছাত্র নেতাদেরকে নিয়ে আয়োজিত প্রীতি সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, তরুণ প্রজন্মকে ইসলামের সুমহান আদর্শে উজ্জীবিত করে সত্য ও সুন্দরের পথে জীবন পরিচালনা করার জন্যই ইসলামী ছাত্রশিবিরের পথচলা শুরু হয়েছিল। ছাত্রজীবনে দ্বীনের পথে চলার প্রশিক্ষণ নিয়ে বাস্তব জীবনে তার প্রতিফলন ঘটানোই ছাত্রশিবিরের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

মূলত দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন হচ্ছে সব ফরজের বড় ফরজ। সকল নবী-রাসূলগণ এই মিশন নিয়েই দুনিয়াতে এসেছিলেন। ফলে ছাত্রজীবন শেষে বৃহত্তর আন্দোলন থেকে অব্যহতি নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এই ক্রান্তিকালে জাতির নেতৃত্বের সঙ্কট পূরনে জাতির এই দুর্দিনে ছাত্রশিবিরের নেতৃত্বকে সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর দিকে এক কদম পরিমাণ অগ্রসর হয়, আল্লাহ তার দিকে ১০ কদম অগ্রসর হোন। তাই আমরা দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজে এগিয়ে আসলে আল্লাহর সাহায্যও আসবে ইনশাআল্লাহ। তিনি মানুষের গোলামীর পরিবর্তে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠায় বিদায়ী ছাত্র নেতাদেরকে আরো দৃঢ়তা নিয়ে কাজ করার কথা বলেন।

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সীমাহীন দুর্নীতি, অর্থনৈতিক সঙ্কট, নানা অব্যবস্থাপনায় জনগণ দিশেহারা। সর্বোপরি সরকার দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। দেশের নাগরিকদের আজ নূন্যতম অধিকারও নেই। জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নেই, ভোটের অধিকারসহ জনগণের সকল অধিকারই একে একে কেড়ে নেয়া হয়েছে।

যারা জনগণের সম্পদ লুট করে, ইজ্জত লুট করে তারা কখনো দেশের রক্ষাকারি হতে পারে না। তাই তিনি জনগণের অধিকার সুনিশ্চিত করতে ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সকলকে একযোগে কাজ করার উদাত্ত আহ্বান জানান।

কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় প্রীতি সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলাওয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ইসলামী

ছাত্রশিবিরের বর্তমান কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. মোবারক হোসেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতারা।

এ সময় সদ্য বিদায়ী ছাত্র নেতাদেরকে ফুল ও বই উপহার সামগ্রী দিয়ে বরণ করে নেয়া হয় এবং নেতাদেরকে ছাত্রজীবনের ইসলামের রঙে রাঙ্গানো অতীতকে ধারণ করে বৃহত্তর অঙ্গণে দ্বীন প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়।

শিবির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের সফলতা বা ব্যর্থতা মূলত আখিরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে নাজাত পাওয়ার ওপরই নির্ভরশীল। এক কথায় আল্লাহকে রাজি ও খুশি করার মাঝেই ইসলামী আন্দোলনের সফলতা নির্ভর করে। দুনিয়াতে কেউ সফল হলেও আল্লাহ পাক যদি তার ওপর খুশি না হন তাহলে তার উক্ত সফলতা আখিরাতে মূল্যহীন হবে।

আর দুনিয়াতে বাহ্যিক দৃষ্টিতে বিফল মনে হলেও খুলুসিয়াতের সাথে কাজ করে আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করতে পারলে তিনি প্রকৃত অর্থেই সফলকাম। অতএব, ইসলামী আন্দোলন এবং অন্যান্য আন্দোলনের সফলতা বা ব্যর্থতা একই আঙ্গিকে বিচার করা ঠিক নয়। ইসলামী আন্দোলনের উদ্দেশ্য দ্বীনের বিজয় মানবতার মুক্তি। এক কথায় ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনই হচ্ছে ইসলামী আন্দোলন। সদ্য বিদায়ী ছাত্রশিবিরের নেতারা জীবনের সকল ক্ষেত্রে আপনারা আল্লাহর আইন মেনে চলবেন এটাই প্রত্যাশা।’

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ বা ইসলামী আন্দোলন আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (স) প্রতি ঈমানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর নির্দেশ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (স)-ই আমাদেরকে দিয়েছেন এবং তা কেয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণাও দিয়েছেন।

এর অস্বীকারকারীর ঈমান থাকতে পারে না। আল্লাহর নির্দেশ ও রাসূলের (স) দেখানো পথ বাদ দিয়ে কেউ অন্য কোনো পথ-পন্থা অবলম্বন করা মানে কুফরী করা। ফলে আল্লাহপাকের সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে ও দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে তিনি স্বল্প সময়ের মধ্যে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতাদেরকে বৃহৎ আন্দোলনের শপথ গ্রহণ করে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি