tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
সারাদেশ প্রকাশনার সময়: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪৩ এএম

খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা থাকলেও জনজীবন স্বাভাবিক, দোকানপাট খোলা


khagrachari-20241002112301

খাগড়াছড়িতে সহিংসতার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায় রয়েছে মানুষ।


বুধবার (২ অক্টোবর) জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। তবে সকাল থেকে শহরের কিছু দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে।

জেলা শহরের মহাজন পাড়া, পানখাইয়া পাড়া সড়কের চা দোকান, আনন্দ নগর রাস্তার মাথা এখনো পড়ে আছে গতকালের সহিংসতার চিত্র। সড়কের ওপর পড়ে আছে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র।

গতকাল এক শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় পাহাড়ি-বাঙালির মধ্যে সহিংসতা শুরু হয়। এর জেরে মহাজন পাড়া এলাকায় অন্তত ১০টি দোকানে ভাংচুর করা হয়। একটি কাপড়ের দোকান থেকে লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া শহরের পানখাইয়া পাড়া সড়কের কেএসটিসি হাসপাতালসহ অন্তত ২০ দোকানে ভাংচুর লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা।

পানখাইয়া পাড়া সড়কের ব্যবসায়ী সুশীল মারমা বলেন, কাল দুপুরের পর থেকে পরিস্থিতি খারাপ দেখে দোকান বন্ধ করে রেখে ছিলাম। আজ সকালে এসে দেখি দোকান ভাংচুর হয়ে গেছে। বেছে বেছে পাহাড়ি দোকান ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।

মহাজন পাড়া এলাকার মুদি দোকানদার স্বপন চাকমা বলেন, উপজেলার দিক থেকে অনেক মানুষ এসে দোকানে হামলা করে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে।

কেএসটিসি হাসপাতালের ম্যানেজার মো. পারভেজ ইসলাম বলেন, দুপুর থেকে হাসপাতাল বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। তারপরও দুর্বৃত্তরা হাসপাতালে হামলা করে ভাংচুর করেছে।

মগের চায়ের দোকান এলাকার জয়া কালেকশনের মালিক জয়া চাকমা জানান, সকালে দোকানে এসে দেখি দোকানের কোনো চিহ্ন নেই। শুধু ভাঙা গ্লাসগুলো পড়ে আছে। দোকানে কোনো মালামাল নেই।

খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা এবং পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। পরিস্থিতি এখন অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসছে। বাজারের কিছু দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে পুলিশের টহল রয়েছে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে স্কুলের অধ্যক্ষের রুমে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জেলার পাহাড়ি ও বাঙালি সম্প্রদায়ের মাঝে সহিংসতা শুরু হয়।

এনএইচ