পরাজয়ের ভয়ে বিএনপি চক্র নির্বাচনে অংশ নেয় না: প্রধানমন্ত্রী
Share on:
পরাজয়ের ভয়ে বিএনপি-জামায়াত চক্র নির্বাচনে অংশ নেয় না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত চক্র কীভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে, তারা মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। আবার জনগণের কোনো উন্নয়নও চায় না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যে, তারা নির্বাচনে পরাজয়ের আশঙ্কা করে।’
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) ওয়েস্টিন টোকিওতে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। জাপানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা বঙ্গবন্ধুকন্যাকে এ নাগরিক সংবর্ধনা দেয়।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘অনেকে বলেন বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয় না। বিএনপি কোন মুখ নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে, ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ২৯ আসন পেয়েছিল। নির্বাচনের ন্যায্যতা সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন তো সেবার উত্থাপিত হয়নি। তারা ২০টি দল, অথচ আসন পেয়েছিল মাত্র ২৯টি। পরে তারা উপ-নির্বাচনে আরও একটি আসন পেয়েছিল।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট পরাজয়ের ভয়ে ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচন বয়কট করেছিল। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি-জামায়াত চক্র ৭০টি সরকারি অফিস পুড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি অগ্নিসংযোগ করে ৫০০ জনকে হত্যা এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করেছিল।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘মানুষের যদি মানবিক গুণ থাকে, তাহলে তারা কখনোই মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করতে পারে না। যারা এমন নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা কোন মুখে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে?’
তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে দেশব্যাপী স্থাপিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর কার্যক্রম বিএনপির সময় বন্ধ করে দেওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো সুবিধা বন্ধ না করে জনগণের কল্যাণে কাজ করে মানুষের মন জয় করা প্রয়োজন।
খালেদা জিয়া বলেছিলেন যে, তারা ক্ষমতায় আসার পর কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছেন। কারণ যারা এসব ক্লিনিক থেকে স্বাস্থ্যসেবা নেবেন, তারা আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন।’
বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই- এমন কথা যারা বলে বেড়ান, তাদের কঠোর সমালোচনা করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘তারা মনে করেন বাংলাদেশে কেবল তখনই গণতন্ত্র ছিল, যখন দেশে স্বৈরাচার, ভোট কারচুপি এবং হ্যাঁ বা না ভোট দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা হয়েছিল।’
এন