রমজানে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে নিয়ন্ত্রিত ইফতার

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেকোনো ভারী খাবার দাবারের পর হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। একইসাথে অনেক খাবার খাওয়ার পর সেগুলোকে সামাল দেয়ার জন্য পাকস্থলীকে তার কাজ অনেক বেশি বাড়িয়ে দিতে হয়। বেশি কাজ মানেই বেশি শক্তির প্রয়োজন। এই অতিরিক্ত শক্তির জন্য তার রক্তও দরকার হয় বেশি। কিন্তু এই রক্ত সে পাবে কোত্থেকে?

পাকস্থলীর কাছের প্রতিবেশী যেহেতু হৃদপিণ্ড সেহেতু হৃদপিণ্ডকে স্যাক্রিফায়েস করতে হয় বেশ খানিকটা রক্ত। আর ঠিক তখনই ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা।

রোজায় সারাদিন না খেয়ে আমরা স্বাভাবিকভাবেই বেশ ক্ষুধার্ত থাকি। মস্তিষ্ক বারবার সংকেত পাঠাতে থাকে - খাবার দাও, খাবার দাও। টেবিলে সাজানো সুস্বাদু সব খাবার আর ব্রেইনের সিগনালের ফাঁদে আমরা খুব সহজেই ধরা পড়ে যাই। গোগ্রাসে প্রচুর খাবার গিলতে থাকি। তারপর আমাদের অজান্তেই শরীরের মধ্যে চলতে থাকে আন্তঃপ্রতিবেশী রক্ত আদান-প্রদান।

কখনো কখনো হজম প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করতে শরীরের বিভিন্ন অর্গান বা অংগ থেকে পাকস্থলীর দিকে রক্তের দিক পরিবর্তন হয়, এর মাঝে হৃদপিন্ড অন্যতম যেখানে রক্ত চলাচলে স্বল্পতা ঘটে।ফলশ্রুতিতে ভারী খাবার দাবারের ২ ঘন্টার মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায় প্রায় চারগুণ।

তাই, ইফতারে নিয়ন্ত্রিত খাবার খান। প্রয়োজনে অল্প অল্প করে ২/৩ বারে খান। নিজের স্বজনদের খাবারের দিকেও খেয়াল রাখুন।

এমআই