এশিয়া কাপ : রাতে ভারত-পাকিস্তান মহারণ
Share on:
এশিয়া কাপের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত লড়াই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। শুধু এশিয়া কাপ নয়, যে কোনো টুর্নামেন্টেই এই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর যুদ্ধ দেখতে মুখিয়ে থাকেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
২০১২ সাল থেকে রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলে না দুই প্রতিবেশি দেশ। সমর্থকদের তাই এক বুক প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে থাকতে হয় বৈশ্বিক টুর্নামেন্টগুলোর দিকে।
রোববার (২৮ আগস্ট) মরুর বুকে গড়াচ্ছে এশিয়ার দুই পরাশক্তির সেই বহুল কাঙ্খিত লড়াই। বাংলাদেশ সময় রাত ৮ টায় এই হাইভোল্টেজ ম্যাচটি দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে।
ভারত-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ৯ বার মুখোমুখি হয়েছে। সেখানে ৭ বারই জিতেছে ভারত। দুইবার জয় পেয়েছে পাকিস্তান।
এদিকে এশিয়া কাপের মঞ্চে মোট ১৫ বার মুখোমুখি হয় ভারত-পাকিস্তান। তাতেও জয়ের পাল্লা ভারি ভারতেরই। ৮ বার জিতেছে ভারত, পাকিস্তানের জয় ৫ বার। পরিত্যক্ত হয়েছে ২টি ম্যাচ।
২০১৬ সালের এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হয় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। ওই আসরে ভারত ৫ উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়েছিলো। তবে দুই দলের সর্বশেষ লড়াইয়ে ভারতকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান বিগত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতকে ১০ উইকেটে লজ্জার হার উপহার দেয়। যেটি আবার ছিল বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের প্রথম জয়।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক ফর্ম আর অতীত রেকর্ড দুটোই বিশ্লেষণ করে এবার কোনো দলকেই এগিয়ে রাখার উপায় নেই। বরং ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে যেটা নিয়ে আলোচনা থাকে, বরাবরের মতো সেই ‘চাপ’ নিয়েই আলোচনাটা বেশি।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ যেহেতু মর্যাদার লড়াই। চাপ থাকবে, অস্বীকার করলেন না ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
তিনি বলেন, ‘সকলেই এই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকে। খুব চাপের ম্যাচ এটি, তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে দলের পরিবেশ হালকা রাখতে চাই।’
রোহিত আরও বলেন, ‘এই ম্যাচ নিয়ে খুব ভেবে নিজেদের চাপে ফেলতে চাই না। যারা কোনোদিন পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেনি বা মাত্র একটি-দু’টি ম্যাচে খেলেছে, তাদের ভালো করে এই ম্যাচের গুরুত্ব বোঝাতে চাই।
আমরা পাকিস্তানকে অন্য যে কোনও সাধারণ প্রতিপক্ষের মতোই দেখছি। তবে ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়ার লক্ষ্য আমাদের।’
এদিকে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম বলেন, ‘অন্যান্য ম্যাচের মত হলেও, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বাড়তি চাপ এমনিতেই চলে আসে। এই চাপকে সামলেই লড়াই করতে হয় ক্রিকেটারদের।
কারণ সকলেই জানে, এমন ম্যাচের গুরুত্ব কত বেশি। তাই জয়ের জন্য মুখিয়ে থাকে ক্রিকেটাররা। এবারও আমরা জয়ের জন্য মাঠে নামবো।’
এইচএন