চাঁদ, মঙ্গল অভিযানে যাবে রোবট ‘অ্যাপোলো’!
Share on:
চন্দ্র এবং মঙ্গল অভিযানে এবার মানুষের পাশাপাশি মানবিক রোবট পাঠানোর পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা।
নাসা বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি করা এমন রোবট পাঠানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এসব রোবট মহাশূন্যে অনুসন্ধানে মানুষকে সহায়তা করবে। এ জন্য টেক্সাসভিত্তিক বেসরকারি প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান অ্যাপট্রোনিক ইনকরপোরেশনের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করছে ।
অ্যাপট্রোনিক ইনকারপোরেশন অ্যাপোলো নামের একটি মানবিক মেশিন প্রস্তুত করছে। এটা যাতে যথাযথভাবে কাজ করে তা নিয়ে তারা ব্যস্ত এখন। বর্তমানে পৃথিবীতে কিভাবে কাজ করবে সেসব ডিজাইন, প্রোগ্রাম দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে অ্যাপোলোকে। এসব কাজের মধ্যে আছে কলকারখানায় কাজ করা ইত্যাদি।
কিন্তু অ্যাপোলো এবং একইরকম অন্য রোবটকে এমনভাবে প্রস্তুত করতে চায় নাসা, যাতে তারা নভোচারীদের সরাসরি সহায়তা করতে পারে। কক্ষপথে থাকা অবস্থায় কাজ করতে পারে। চাঁদে অথবা দূরের মঙ্গলগ্রহের অভিযানে তাদেরকে সঙ্গী বানাতে চায় নাসা। এ খবর দিয়েছে পশ্চিমা একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকা।
নাসার জনসন স্পেস সেন্টারের রোবটিক টিমের প্রধান শন আজিমি বলেন, নাসার বিশেষজ্ঞ দলে মানবিক ভ্রাম্যমাণ রোবটকে অন্তর্ভুক্ত করে আমরা আশা করছি গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার করতে পারবো।
রোবটিক প্রযুক্তির ফল নিয়ে গর্বিত আমরা। এতে আমেরিকার অর্থনীতি সুবিধা পাবে। মানুষের কাজে নিরাপদ সহায়ক পাওয়া যাবে। উৎপাদনশীলতা বাড়বে পৃথিবীতে। পাশাপাশি মহাকাশ গবেষণায়ও তাদের সহায়তা পাওয়া যাবে।
ওদিকে অ্যাপট্রোনিক তার ওয়েবসাইটে বলেছে, তাদের অ্যাপোলো রোবটের উচ্চতা ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি। ওজন ৭৩ কেজি। প্রতি প্যাক ব্যাটারি তাকে প্রায় চার ঘন্টা চলার শক্তি যোগাবে। বর্তমানে যে বর্ণনা দেয়া হয়েছে তাতে পৃথিবীতে অনেক কাজের উপযোগী অ্যাপোলো। হতে পারে তা খুচরা বিক্রির খাতেও। আশা করা হচ্ছে এর ভবিষ্যৎ সংস্করণ নাসার বহির্জাগতিক গবেষণায় কার্যকর ফল এনে দিতে পারবে। এই রোবটকে নতুন করে প্রোগ্রাম করা যায়। তার শারীরিক গঠন পরিবর্তন করা যায়। এর অর্থ হলো যেমন খুশি নাসা এই রোবটকে তাদের মতো করে নিতে পারবে।
মহাশূন্যে রোবটের ব্যবহার অতিশয় সুবিধাজনক। মানুষের চেয়ে এক্ষেত্রে তারা হতে পারে বেশি কার্যকর। এর ফলে মানুষকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ কাজে পাঠানোর ঘটনা কমে আসতে পারে। তীব্র প্রতিকূল আবহাওয়ায় যেখানে মানুষের জন্য যাওয়া সম্ভব না সেখানে এই রোবটকে পাঠিয়ে করা যেতে পারে গবেষণা। মানুষ যেতে পারে না এমন স্থানে, যেমন মঙ্গলগ্রহে পাঠানো যেতে পারে এই রোবট। তাতে মঙ্গল সম্পর্কে আরও স্বচ্ছ গবেষণা করা যেতে পারে।
এমবি