যেসব শর্তে যুদ্ধবিরতি চায় হামাস
Share on:
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ থামাতে কাতারের রাজধানী দোহায় আবারও আলোচনায় বসেছে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে দোহায় আলোচনার জন্য পৌঁছেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে আলোচনায় অংশ নিতে সেখানে পৌঁছেছেন দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ প্রধান বিল বার্নস।
এরইমধ্যে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের একটি সূত্র সৌদির সংবাদমাধ্যম আশরাক নিউজকে জানিয়েছে, তারা দোহায় একটি বিস্তৃত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেবেন। এই প্রস্তাব অনুযায়ী, দখলদার ইসরায়েল গাজা থেকে তাদের সব সেনাকে প্রত্যাহার করে নিয়ে যাবে এবং নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। অপরদিকে হামাস একদিনে ইসরায়েলের সব জিম্মিকে ছেড়ে দেবে। আর ওইদিনই যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যাবে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রোববারও দোহায় বৈঠকে বসেছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং ইসরায়েলি প্রতিনিধিরা। সোমবার তাদের বৈঠকের পরই হামাস প্রস্তাবটি উত্থাপন করবে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।
দখলদার ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির বিভিন্ন পরিকল্পনা করছে। গত সপ্তাহে ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে বলা হয় তারা হামাসের সঙ্গে দুই সপ্তাহ যুদ্ধ বন্ধ রাখবে। এর বদলে হামাস পাঁচ জিম্মিকে মুক্তি দেবে।
তবে হামাস এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ তারা চায় যুদ্ধ একেবারে বন্ধ হোক। সৌদির সংবাদমাধ্যমকে হামাসের সূত্রটি বলেছেন, ‘আমরা আলোচনাকারীদের প্রস্তাব শুনব। কিন্তু আমাদের পক্ষ থেকে আমরা একটি বিস্তৃত চুক্তি চাই। যেটি এক ধাপে হবে এবং যুদ্ধ একেবারে বন্ধ করবে। এর বদলে নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দির বদলে ইসরায়েলি জিম্মিরা মুক্তি পাবে।
এদিকে মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি গাজায় দুইদিনের একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি তার প্রস্তাবে বলেছেন এই দুইদিনে হামাস চার ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। অপরদিকে ইসরায়েল কিছু ফিলিস্তিনিকে তাদের কারাগার থেকে ছেড়ে দেবে।
এনএইচ