৫ শিক্ষার্থী হত্যাকান্ডে জামায়াতের তীব্র নিন্দা
Share on:
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের নৃশংস ও বর্বর হামলায় এ পর্যন্ত ৫জন নিহত ও অর্ধ সহস্রাধিক আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই ) এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
এক যৌথ বিবৃতিতে মহানগরী নেতৃদ্বয় বলেন, সরকারি চাকুরীতে কোটা পদ্ধতি বাতিল নতুন কিছু নয় বরং নিকট অতীতে আন্দোলনের মুখেই বর্তমান সরকার কোটা পদ্ধতি বাতিল করে পরিপত্র জারি করেছিল। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, সরকার সে অবস্থান থেকে সরে এসে চলমান আন্দোলনকে বিভ্রান্ত ও নস্যাৎ করার জন্যই আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগসহ দলীয় সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দেশের উচ্চশিক্ষা দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে রীতিমত রণক্ষেত্রে পরিণত করেছে।
যা সরকারের অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসীবাদী-বাকশালী মানসিকতার পরিচয় বহন করে। তারা বলেন, আওয়ামী সরকার কোটা প্রথা চালুর মধ্য দিয়ে তাদের দলীয় লোকজনকে বিভিন্ন পদে নিয়োগ করতে চাচ্ছে তার বিপরীতে ছাত্রসমাজ মেধার ভিত্তিতে সরকারি চাকুরী নিশ্চিত করতে চাচ্ছে যা যৌক্তিক ও ন্যায়-সঙ্গত আন্দোলন।
আর যেকোন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ও কর্মসূচি পালন জনগণের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু এই আন্দোলনকে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে রীতিমত কটাক্ষ সহ আন্দোলনকারীদের ওপর নানাভাবে হুমকী প্রদান করা হচ্ছে। সরকার আন্দোলনরত ছাত্রদের ন্যায়সঙ্গত দাবি না মেনে প্রধানমন্ত্রী এবং তার সরকারের মন্ত্রীরা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতিকে অশান্ত ও অস্থির করে তুলেছে। যা অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত।
তারা আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের রাজাকারের নাতি-পুতি হিসাবে আখ্যা পরিস্থিতিকে জটিল ও অশান্ত করে তুলেছেন। সড়ক, পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়ে বলেছেন, ‘আত্মস্বীকৃত রাজাকারদের জবাব দিতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট’। তার এমন অনাকাক্সিক্ষত ও উষ্কানীমূলক বক্তব্যের পরই ঢাকা সহ সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা নৃশংস হামলা শুরু করেছে।
সে ধারাবাহিকতায় ১৫ ও ১৬ জুলাই ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুর, রাজশাহী, বরিশাল, জগন্নাথ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশে হামলা চালিয়ে শত শত ছাত্র-ছাত্রীকে আহত ও রক্তাক্ত করেছে। তারা এমন নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আহবান জানান। মহানগরী নেতৃদ্বয় হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবি করেন।
প্রেসবিজ্ঞপ্তি//এমএইচ