প্রশাসনের আশ্বাসে চবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ প্রত্যাহার
Share on:
মানহীন খাবারের দাম বৃদ্ধি, ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায়, ভর্তিচ্ছুদের ভোগান্তি, হলের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ইত্যাদি কারণ দেখিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলা বিক্ষোভ প্রশাসনের আশ্বাসে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ মে) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে প্রধান গেট আটকে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশ।
জানা যায়, ১৬ মে থেকে চবিতে শুরু হয় ২০২২-২৩ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা। পরীক্ষার শুরু থেকেই খাবারের দাম ও রিকশা এবং বাস ভাড়া নিয়ে শুরু হয় অভিযোগ। মানহীন খাবারের ইচ্ছামতো দাম রাখছে বিশ্ববিদ্যালয় দোকানিরা।
তবে ভ্রুক্ষেপহীন প্রশাসন। পাশাপাশি ভাড়া বেড়েছে কয়েকগুণ। ২০ টাকার ভাড়া ক্ষেত্রবিশেষে রাখা হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে চলছে সমালোচনা। আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর কর্মী এবং নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
এক আন্দোলকারী শিক্ষার্থী বলেন, ভর্তি পরীক্ষার প্রথম দিন থেকেই শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সিন্ডিকেট করে কয়েকগুণ ভাড়া আদায় করছে বাস, সিএনজি চালকরা। বারবার ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও প্রশাসনের অবস্থান শূন্য। এর প্রতিবাদে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি।
তবে ৩ নম্বর বাসের ড্রাইভার মোহাম্মদ নূরনবী গণমাধ্যমকে বলেন, ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে গেলেই আমাদের থেকে ১০০ টাকা করে চাঁদা নেয়। এজন্য আমরা কিছু টাকা বাড়িয়ে নেই। তবে কে চাঁদা নেন তার যথাযথ জবাব দিতে পারেননি তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, কিছু অভিযোগে ছাত্রলীগের কর্মীরা আন্দোলন শুরু করে।অভিযোগগুলো আমরা আগেও পেয়েছি। এরই মধ্যে বিকেলে ভাড়া বেশি নেওয়ার কারণে কয়েকজন বাস সিএনজি চালককে জরিমানাও করা হয়েছে। কাল থেকে আরও কঠোরভাবে বিষয়গুলো দেখা হবে।
এমআই