জ্বলছে ফ্রান্স, বিক্ষোভ দমাতে ৪৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন
Share on:
দাঙ্গা, লুটপাট এবং সহিংসতায় উত্তাল ফ্রান্স। দেশটির বিক্ষোভ দমন করতে রাস্তায় নামানো হয়েছে পুলিশ ও সাঁজোয়া যান।
শনিবার (১ জুলাই) ফ্রান্সজুড়ে ৪৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন করেছে সরকার। সূত্র: দ্যা গার্ডিয়ান।
গত মঙ্গলবার প্যারিসের উপকণ্ঠে পুলিশের গুলিতে এক তরুণ নিহত হওয়ার পর ফ্রান্সে এই দাঙ্গা শুরু হয়। গত রাতে সর্বশেষ দফা গোলযোগের সময় প্যারিসে বহু দোকানপাট লুট হয়, অনেক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
শুক্রবার (৩০ জুন) রাতে অ্যাপল স্টোর থেকেও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন ভবনেও আগুন দেওয়া হয়েছে।
গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে বলছে, ২০১৮ সালে ইয়োলো ভেস্ট আন্দোলন শুরুর পর প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো এবার তার নেতৃত্বে গভীর সংকটে পড়েছেন। ইতোমধ্যে পরিস্থিতি সামলাতে জরুরি বৈঠক করেছেন তিনি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলজেরীয় এবং মরোক্কান বংশোদ্ভূত ১৭ বছর বয়সী তরুণ নাহেল এম গত মঙ্গলবার গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
যে পুলিশ অফিসারের গুলিতে নাহেল মারা যান, তিনি তার পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। এই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ‘ইচ্ছেকৃতভাবে হত্যার’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
ফ্রান্সে বর্ণবাদ এবং সংখ্যালঘু জাতি-গোষ্ঠীর মানুষদের প্রতি পুলিশের বৈষম্যমূলক আচরণের ব্যাপারে ক্ষোভ উস্কে দিয়েছে নাহেলের মৃত্যু। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে পুরো ফ্রান্স সহিংস বিক্ষোভে উত্তাল।
গতকাল (শুক্রবার) অন্তত ৪৭০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে ফ্রান্স পুলিশ। তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছে, আগের রাতের তুলনায় কালকের পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত ছিল। গতকাল প্যারিসের উপকণ্ঠে বিভিন্ন শপিং মলে লুটপাট অব্যাহত ছিল।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন শনিবার ভোর নাগাদ বলেন, তিনি পুলিশের সঙ্গে দেখা করেছেন।
ডারমানিন বলেছেন, দেশজুড়ে আমরা ৪৭১ জনকে গ্রেফতার করেছি। প্রজাতন্ত্রের জয় হবে দাঙ্গাকারীদের না বলে এসময় উল্লেখ করেন তিনি।
ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্ন এর আগে বলেছেন, ১৭ বছর বয়সী নাহেলের মৃত্যুতে যে আবেগের বহিঃপ্রকাশ দেখা যাচ্ছে তা বুঝতে পারেন তিনি। তবে এই সহিংসতা কোনো যুক্তিতেই মানা যায় না বলেও জানান তিনি।
এন