বিএনপির বড় উইকেট পড়ে গেছে : আব্দুর রহমান
Share on:
বিএনপির বড় উইকেট পড়ে গেছে, জামায়াতে ইসলাম বলেছে- বিএনপির সঙ্গে তারা আর নেই। বিএনপি নৈরাজ্য করে ক্ষমতায় আসতে পারবে না, নৈরাজ্য করলে ছাত্রলীগ বসে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান।
রোববার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আব্দুর রহমান বলেন, বিএনপি কখনো সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে পারেনি। জিয়াউর রহমান বিচারপতি সায়েমের বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। ১৯৯১ সালে বিএনপি দেশি-বিদেশি যড়যন্ত্রে কারচুপি করে ক্ষমতায় এসেছে। ২০০১ সালে ভারতকে এদেশের গ্যাস রপ্তানি করবে বলে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে।
তিনি আরও বলেন, র্যাব বিএনপি সৃষ্টি করেছিল। ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজ বাবুকে প্রথম গুম করে বিএনপি। বিএনপি চট্টগ্রামে নিজেদের নেতা জামালকেও গুম করে, ৪২ দিনের মাথায় তার লাশ পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, গুমের নামে অনেকে নাটক করে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাচেলেত ঢাকায় এলে মির্জা ফখরুল ভাবলেন তাদের ক্ষমতায় বসাবে। তারা যখন বলছে, বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সংকট নেই, তখন বিএনপির মুখ চুপসে গেছে।
তিনি বলেন, ভারতে নরেন্দ্র মোদী যখন প্রধানমন্ত্রী হলেন তখন মেকাপ করে তৈরি হয়ে গেলেন যেন এবার তাকে (খালেদা জিয়া) প্রধানমন্ত্রী বানাবে। তারপর ভাবলো, হিলারি যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে তাকে ক্ষমতায় বসাবে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হবেন বলেও মন্তব্য করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি ভাইয়ের সামনে বোনকে ধর্ষণ করেছে, পিতার সামনে কন্যাকে ধর্ষণ করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ এসব কিছুই করেনি। শেখ হাসিনা সবাইকে নিরাপদ রেখেছেন।
বিএনপি ও তারেক জিয়া ক্ষমতায় থেকে কিবরিয়া সাহেবকে হত্যা করেছে, আহসানাল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করেছে, নাটোরে মমতাজ উদ্দিনকে হত্যা করেছে, বলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক।
ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর উত্তরের আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
এইচএন