ইরানে ড্রোন হামলা, ইসরাইলি মন্ত্রীর টুইট ঘিরে নিন্দার ঝড়
Share on:
ইরানে ড্রোন হামলা হয়েছে। তবে ইসরাইল এ হামলা করেছে কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়। সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গির। এতে বেকায়দায় পড়েছে নেতানিয়াহু সরকার। খবর আল-জাজিরা
বেন গিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের কৌশলের ক্ষতি করেছেন। ইরানের গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, ইস্পাহানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলেও এর সঙ্গে বাইরের দেশের কোনো যোগসূত্র নেই।
দেশটির আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তিনটি ড্রোন ভূপাতিত করলেও, এগুলোর সঙ্গে ইসরাইল বা অন্য কোনো দেশের সম্পৃক্ততা নেই—এমনটাই দাবি করছে তেহরান। তারা বলছে, অভ্যন্তরীণ অনুপ্রবেশকারীরারা এ ড্রোনগুলো নিয়ন্ত্রণ করছিলেন।
এর আগে মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে একাধিক মার্কিন গণমাধ্যম জানায়, ইসরাইল ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ক্ষমতাসীন জোট সরকারের অন্যতম সদস্য বেন গির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে 'কাকতাড়ুয়া (স্কেয়ারক্রো)!' লিখে পোস্ট করেন।
এটি হিব্রু ভাষার একটি গালি, যার অন্তর্নিহিত অর্থ হচ্ছে, এ হামলার নেপথ্যে ইসরাইল থাকলেও এটি একটি দুর্বল পদক্ষেপ। তার এ মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও টিভি চ্যানেলে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।
বিরোধী দলের নেতা ইয়ার লাপিদ এক্সে বলেন, এর আগে কখনো কোনো মন্ত্রী দেশের নিরাপত্তা, ভাবমূর্তি ও আন্তর্জাতিক মহলে অবস্থানের এতো বড় ক্ষতি করেননি। একটি এক শব্দের টুইটে (এক্সের পুরাতন নাম টুইটার) বেন গির ইসরাইলকে লজ্জা দিয়েছেন ও হাসির পাত্রে পরিণত করেছেন, যা তেহরান থেকে ওয়াশিংটন পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।
অপরদিকে নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির আইনপ্রণেতা তালি গোতলিভ ইরানের ঘটনায় উল্লাস প্রকাশ করেন। তিনি এক্সে লেখেন, আজ এক গৌরবময় সকাল ছিল। ইসরাইল একটি বলিষ্ঠ ও শক্তিশালী রাষ্ট্র।
এর আগে ইসরাইল ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। শনিবার সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ইসরাইলি হামলার প্রতিশোধ নিতে ৩০০ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে ইসরাইলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় ইরান।
এনএইচ