ঢাকায় ১ আগস্টের সমাবেশ বাস্তবায়নে প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা চাইলেন অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
Share on:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত আগামী ২৮ জুলাই, ৩০ জুলাই এবং ১ আগষ্ট এর কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে বাস্তবায়নের ব্যাপারে এক সভায় বিশদ আলোচনা করা হয়।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমীরদের নিয়ে ভার্চুয়ালি এক বৈঠক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত আমীর ঘোষিত কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করে বলেন,
“বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিকপন্থায় শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়নে অভ্যস্ত একটি দল। জামায়াত অতীতে প্রতিটি আন্দোলনে শান্তিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণ করেছে এবং জনগণ তা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমর্থন করেছে। ১০ জুন রাজধানী ঢাকায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে জামায়াত তার ঐতিহ্য তুলে ধরেছে। আমরা সিলেট এবং চট্টগ্রামে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সমাবেশের জন্য কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করে চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদেরকে সমাবেশ করার সহযোগিতা দেয়া হয়নি।
তিনি আরো বলেন, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক কর্মসূচি অপরিহার্য। সরকার তাতে বাধা দিয়ে মূলত অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথে বাধা সৃষ্টি করেছে। আমরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের জন্য আগামী ২৮ জুলাই, ৩০ জুলাই ও ১ আগষ্ট মিছিল ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। ইতোমধ্যেই জামায়াতের মহানগরী শাখাগুলো পুলিশ প্রশাসনের নিকট সহযোগিতা কামনা করে চিঠি দিয়েছেন। সেসব চিঠি আমলে নিয়ে প্রশাসন জামায়াতকে রাজনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা দিবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।
তিনি বলেন, আমরা সম্মানিত জেলা আমীরগণের প্রতি আহŸান জানাতে চাই, শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের সকল জনশক্তিকে ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য আপনাদেরকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা দেশে সংঘাত ও সংঘর্ষ চাই না। সরকার নিজেই সংঘাতের পরিবেশ তৈরি করছে। এটা কারো জন্য ভাল ফল বয়ে আনবে না।
তিনি আরো বলেন, পুলিশ প্রজাতন্ত্রের সেবক। তারা কোনো দলের নয়। তাই তারা নিরপেক্ষভাবে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করবেন, এটাই জনগণের প্রত্যাশা। আমরা আগামী ২৮ জুলাই মহানগরীসমূহে ও ৩০ জুলাই জেলা সদরে মিছিল এবং ১ আগষ্ট ঢাকা মহানগরীতে সমাবেশের যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছি, তা বাস্তবায়নে প্রশাসনের সহযোগিতা এবং দেশবাসী ও জামায়াতের সকল জনশক্তির অংশগ্রহণ কামনা করছি।
আমরা সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই, নেতৃকোনো ও গুলশানের উপনির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। নেতৃকোনায় সরকারি দলের প্রার্থী ছাড়া আর কোনো প্রার্থী নেই। আর গুলশানে ভোট পড়েছে মাত্র ১১ শতাংশ। এ থেকে বুঝা যায়, এ সরকারের অধীনে জনগণ কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে রাজি নয়। আমরা কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”
(প্রেস বিজ্ঞপ্তি)