মানবজীবনের সর্বস্তরে কুরআনের বিধান প্রতিষ্ঠিত করতে হবে : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
Share on:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘রাসূল সা:-এর অনুসরণের মাধ্যমে মানবজীবনের সর্বস্তরে কুরআনের বিধান প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। রাসূল সা: একটি সুবিচারপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন। নবুওয়াতের আগে কিশোর বয়সেও হিলফুল ফুজুল গঠনের মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগকে মহাগ্রন্থ আল কুরআনের মাধ্যমে আলোকিত করেছিলেন।’
শনিবার (১৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নড়াইল জেলা শাখার উদ্যোগে সীরাতুন্নবী সা: উপলক্ষে আয়োজিত এক ভার্চুয়ালি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা আমির অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান বাচ্চুর সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ কায়সারের পরিচালনায় আলোচনা সভা সম্পন্ন হয়।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান।
এতে বক্তব্য রাখেন- অঞ্চল টিম সদস্য আব্দুল মতিন, মাওলানা মির্জা আশেক এলাহী, ড. মাওলানা আলমগীর বিশ্বাস, জেলা নায়েবে আমির আলী আহমাদ, জেলা সহকারী সেক্রেটারি আবুল বাশার, বাদশা মিয়া, অধ্যাপক আব্দুস সামাদ, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য আইয়ুব হোসেন খান, মাওলানা আলমগীর হোসাইন, শ্রমিকনেতা আকিদুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা আবদুল্লাহ আল আমীন প্রমুখ।
মোবারক হোসাইন বলেন, ‘মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা: সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। তিনি মদীনা সনদের আলোকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। মক্কা বিজয়ের দিনও তিনি সকলকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির বন্ধনকে সুদৃঢ় করেছেন।’
আজিজুর রহমান বলেন, রাসূল সা: সমাজকল্যাণমূলক কাজকে প্রাধান্য দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় ভূমিকা রেখেছেন। তাই ইসলামী আন্দোলনের প্রতিটি কর্মীকে মানবতার সেবায় নিয়োজিত থাকতে আহ্বান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
এমআই