tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
খেলা প্রকাশনার সময়: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২:১১ পিএম

রিজওয়ান-ইফতিখারের ব্যাটে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পাকিস্তানের


11

২৭.৪ ওভারে পাকিস্তান ৫ উইকেটে ১৩০ রান তোলার পর ঝমঝমিয়ে নামে বৃষ্টি। বেশ কঠিন পরিস্থিতিতেই ছিল বাবর আজমের দল। কিন্তু বৃষ্টির পর যেন অন্য চেহারায় হাজির পাকিস্তান।


বিপদ থেকে দলকে টেনে তোলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান আর ইফতিখার আহমেদ। শুধু টেনে তোলাই নয়, ষষ্ঠ উইকেটে ৭৮ বলে ১০৮ রানের ঝোড়ো জুটি গড়েন তারা।

৪০ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৪৭ রানের ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত ইফতিখার আউট হন। তবে ততক্ষণে পাকিস্তানের বেশ ভালো সংগ্রহ (২৩৮) এসে গেছে বোর্ডে। ৪২ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ২৫২ রান তুলেছে পাকিস্তান। অর্থাৎ জিততে হলে এই ওভারের মধ্যে লঙ্কানদের করতে হবে ২৫৩।

রিজওয়ান শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৭৩ বলে ৮৬ রানে। মারকুটে এই ইনিংসে ৬টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কা হাঁকান উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার।

মাথিসা পাথিরানা ৬৫ রানে ৩টি আর প্রমোধ মধুশান ৫৮ বলে ২ উইকেট শিকার করেন।

বলতে গেলে এশিয়া কাপের অঘোষিত সেমিফাইনাল। মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে শুরুটা ভালো হয়নি টস জিতে ব্যাটিং করতে নামা পাকিস্তানের। ৯ রান তুলতে তারা হারিয়ে বসে ওপেনার ফাখর জামানকে (১১ বলে ৪)। লঙ্কান পেসার প্রমোদ মধুশানের বলে বোল্ড হন তিনি।

পাকিস্তান এমনিতেই বেশ ধীরগতিতে ব্যাটিং করছিল। এর মধ্যে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দলটি। প্রথম ৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে তারা তুলে মাত্র ১৩ রান।

তবে দ্বিতীয় উইকেটে বাবর আজম আর আবদুল্লাহ শফিক ৬৪ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে নেন। ৩৫ বলে ২৯ করে ওয়াল্লালাগের বলে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন বাবর।

এরপর আবদুল্লাহ শফিক হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। যদিও ফিফটি পূরণ করার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৬৯ বলে ৩ চার আর ২ ছক্কায় ক্যারিয়ারসেরা ৫২ রানের ইনিংস খেলে পাথিরানার শিকার হন ডানহাতি এই ব্যাটার। দলীয় ১০০ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান।

শফিক সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেও পারেননি মোহাম্মদ হারিস। এবারের এশিয়া কাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে পাথিরানাকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি (৯ বলে ৩)। এরপর ১২ বলে ১২ রান করা মোহাম্মদ নওয়াজ বোল্ড হন থিকসানার বলে। ১৩০ রানে ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান।

বৃষ্টির কারণে এই ম্যাচে সময়মতো টস হয়নি। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার এশিয়া কাপের সুপার ফোরের লড়াইটি প্রায় দুই ঘণ্টার বেশি সময় পর শুরু হয়। ফলে ৫ ওভার করে কাটা হয় দুই ইনিংসে। অর্থাৎ ৫০ ওভারের বদলে ৪৫ ওভারের ম্যাচ ধরা হয় শুরুতে। পরে বৃষ্টিবাধায় আরও তিন ওভার কাটায় হয়েছে ৪২ ওভার।

এবি