ইউক্রেনের বাখমুত শহরে পৌঁছে গেছে রুশ বাহিনী
Share on:
ইউক্রেনের ডনবাস প্রদেশের বাখমুত শহরের কেন্দ্রস্থলে পৌঁছে গেছে রুশ বাহিনী। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘গত কয়েকদিনে রুশ বাহিনী বাখমুত যুদ্ধে আবারও মোমেন্টাম খুঁজে পেয়েছে। ২০২৩ সালের মার্চের শেষ দিক বাখমুতে রুশ বাহিনীর অগ্রসর থমকে ছিল।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘কিন্তু রাশিয়া আরও সাফল্য পেয়েছে এবং এখন সম্ভবত শহরের কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে এবং রুশ সেনারা বাখমুতকা নদীর পশ্চিমতীর দখল করেছে। এতে করে ইউক্রেনের রসদ পরিবহনের ০৫০৬ রুটটি চরম ঝুঁকিতে পড়ে গেছে। রাশিয়ার এয়ারবোর্নসহ সাধারণ সেনাবাহিনীর সদস্যরা খুব সম্ভবত আবারও এই এলাকায় জড়ো হয়েছে এবং রাশিয়া আবারও এই এলাকায় মর্টার ছুড়ছে।’
এছাড়া ব্রিটিশ গোয়েন্দারা জানিয়েছেন বাখমুতকে ঘিরে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিনের মধ্যে যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছিল সেটি তারা মিটিয়ে ফেলেছেন।
এ ব্যাপারে দেশটির গোয়েন্দা তথ্যে বলা হয়েছে, ‘খুব সম্ভবত, স্থানীয়ভাবে ওয়াগনার গ্রুপ এবং রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমান্ডাররা তাদের মধ্যকার চলমান দ্বন্দ্ব নিরসন করেছেন এবং নিজেদের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বৃদ্ধি করেছেন।’
এদিকে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। এরপর সেপ্টেম্বরে কথিত গণভোট আয়োজন করে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝিয়া এবং খেরসনকে অধিগ্রহণ করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এরপর ডনবাস প্রদেশের দোনেৎস্কের বাখমুত শহর দখলে প্রাণপণ লড়াই শুরু করে রুশ বাহিনী। শুধুমাত্র এ শহরের নিয়ন্ত্রণের জন্য ইউক্রেনের সেনাদের বিরুদ্ধে ১০ মাস যুদ্ধ করেছে তারা।
পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাখমুত অঞ্চল হিসেবে এতটা গুরুত্বপূর্ণ না। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন, যদি রুশ সেনারা বাখমুতে পৌঁছে যায় তাহলে তারা আরও বড় দু’টি শহরের দখল নেবে। এ কারণে অসংখ্য সেনা হতাহত হলেও বাখমুতে যুদ্ধ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন জেলেনস্কি। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
এমআই