tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:১৭ এএম

বিএনপি-জামায়াতের ৭২ ঘণ্টার অবরোধ শুরু


image-245909-1698721460

সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি, মহাসমাবেশে হামলা ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিএনপি-জামায়াত ও বিরোধী দলগুলোর দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।


সোমবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিন দিনের এ অবরোধ কর্মসূচি আজ মঙ্গলবার শুরু হয়ে চলবে ২ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত।

তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে হামলা, নেতা-কর্মীদের হত্যা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মীর গ্রেপ্তার, বাড়ি গিয়ে তল্লাশি হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, অবরোধ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে সংবাদপত্রের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, অক্সিজেন সিলিন্ডার গাড়ি ও জরুরি ঔষধ পরিবহন।

অন্যদিকে, সোমবার (৩০ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে সারা দেশে তিন দিনের (৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর) সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

এর বাইরে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট ও গণঅধিকার পরিষদ বিজয় নগর, প্রেস ক্লাব এলাকায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে বলেও জানা গেছে। অন্যদিকে জামায়াত মঙ্গলবার ভোর দিকে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধের সমর্থনে মিছিল করতে পারে বলেও জানা গেছে।

এর আগে রোববার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আন্দোলন কর্মসূচি প্রণয়ন ও পরবর্তী করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বিএনপির নীতি-নির্ধারণী ফোরামের এক নেতা জানিয়েছেন, পিছু হটার কোনো সুযোগ নেই। দাবির পক্ষে জনগণের সমর্থন রয়েছে। ২৮ অক্টোবর শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে মানুষের ঢল দেখে পূর্বপরিকল্পিতভাবে পুলিশ দিয়ে হামলা চালিয়ে পণ্ড করেছে। ২৯ অক্টোবর হরতাল কর্মসূচি সারাদেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করেছে।

অপরদিকে, বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা টানা তিন দিনের অবরোধে সারাদেশে পণ্যবাহী গাড়ি ও বাস চালানোর ঘোষণা দিয়ে নিরাপত্তা চেয়েছে পরিবহন মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। একই সঙ্গে যেসব গাড়ি ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর জন্য ক্ষতিপূরণের দাবিও জানানো হয়েছে। সোমবার সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মালিক-শ্রমিকদের যৌথসভায় এই সিদ্ধান্ত হয় বলে সংগঠনের মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এনএইচ