উত্তপ্ত নাগাল্যান্ড, ক্ষতিপূরণ নয় বিচার চায়
Share on:
সম্প্রতি কমপক্ষে ১৪ জন বেসামরিক মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যুতে জড়িত ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিচারের আওতায় না আনা এবং বিতর্কিত আর্মড ফোর্সেস (স্পেশাল পাওয়ারস) অ্যাক্ট বাতিল না করা পর্যন্ত নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা এবং গ্রামবাসী সরকারের কোনো ক্ষতিপূরণ গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সম্প্রতি কমপক্ষে ১৪ জন বেসামরিক মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যুতে জড়িত ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিচারের আওতায় না আনা এবং বিতর্কিত আর্মড ফোর্সেস (স্পেশাল পাওয়ারস) অ্যাক্ট বাতিল না করা পর্যন্ত নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা এবং গ্রামবাসী সরকারের কোনো ক্ষতিপূরণ গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গত সপ্তাহে নাগাল্যান্ডের মন জেলায় ওটিং গ্রামে ওইসব ব্যক্তিকে ভুল করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা হত্যা করে।
উল্লেখ্য, কয়লাখনিতে কাজ করে একটি ট্রাকে করে ঘরে ফেরা শ্রমিকদের ওপর ভারতীয় সেনা সদস্যরা জঙ্গি ভেবে গুলি চালায়। এতে কমপক্ষে ৬ শ্রমিক নিহত হন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ করেন। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে সেনারা ফের গুলি চালায়। এতে আরো ৭ জন নিহত হন। মোট নিহতের সংখ্যা ১৪ বলে জানানো হয়েছে।এর মধ্যে ১২জনই ওটিং গ্রামের বাসিন্দা।
এ খবর দিয়ে অনলাইন এনডিটিভি বলেছে, ওই দুটি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নিহতদের পরিবারের সদস্যরা ও ওটিং গ্রামের বাসিন্দারা সরকারের দেয়া কোনো ক্ষতিপূরণ গ্রহণ করবেন না।
ওটিং গ্রামের কাউন্সিল থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, জেলার মিনিস্টার এবং ডেপুটি কমিশনারের পক্ষ থেকে বড় একটি অংকের একটি খাম পাঠানো হয়েছে।
ভালবাসা এবং উপহার হিসেবে তা পাঠিয়েছেন মন্ত্রী পাইওয়াং কোনিয়াক। কিন্তু গ্রামবাসী পরে জানতে পারেন, এই অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার।
এরপর ওটিং গ্রামের কাউন্সিল এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর ২১তম প্যারা কমান্ডোতে থাকা অপরাধীদের আইনের ফৌজদারি ধারায় বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং আর্মড ফোর্সেস (স্পেশাল পাওয়ারস) অ্যাক্ট বাতিল করতে হবে।
তা না করা পর্যন্ত ওই ক্ষতিপূরণ তারা গ্রহণ করবেন না। এ বিষয়ে একটি বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন ওটিং গ্রাম কাউন্সিলের চেয়ারম্যান লংওয়াং কোনিয়াক।
উল্লেখ্য, নিহত প্রতিজনের পরিবারকে ৫ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ অনুমোদন করেছে নাগাল্যান্ড সরকার। অন্যদিকে যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতিজনকে ৫০ হাজার রুপি করে দেয়ার অনুমোদন হয়েছে।
এইচএন