tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২০:৫৫ পিএম

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের সক্ষমতা সরকারের নেই : ফখরুল


3

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের সক্ষমতা সরকারের নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এই সরকারের জনগণের কোনো ম্যান্ডেট নেই। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে চাপ তৈরি করতে আন্তর্জাতিক ফোরামের সামনে দাঁড়ানোর শক্তি নেই।


রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) গুলশান হোটেল লেকশোরে রোহিঙ্গা ক্রাইসিস অ্যান্ড রোহিঙ্গা স্ট্রাটেজি শীর্ষক সেমিনারে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

ক্ষমতায় গেলে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেবে বলে জানান মির্জা ফখরুল।

একই সঙ্গে সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে গোলাগুলির যে ঘটনা ঘটছে তাতে মৌলবাদী শক্তির উত্থান ঘটতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে যে হারে গোলাগুলি হচ্ছে, আমরা চিন্তায় আছি যে সেখান থেকে জঙ্গিবাদের উত্থান হয় কি না, দেশে ফের সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে কি না। দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে সরকারের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ লড়াই করছে, এ মুহূর্তে বিভিন্ন দেশের যে প্রতিনিধিরা আমাদের সঙ্গে এসে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই।

মির্জা ফখরুল বলেন, অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন এই মুহূর্তে কেন আমরা রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা বলছি। কারণ, অনেকটা শঙ্কা থেকেই এই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে সেমিনারের অয়োজন করেছি।

এসময় ড. ইউনূসের বিচার কাজ নিয়ে পঞ্চাশ সম্পাদকের বিবৃতি অসত্য বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া ক্ষমতাসীন সরকার তার অবৈধ ক্ষমতা রক্ষার দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়ঙ্কর রেকর্ডে ভুগছে, আন্তর্জাতিক ফোরামে রোহিঙ্গা মানবাধিকার সমস্যা মোকাবিলার বৈধতা পাচ্ছে না। ফ্যাসিবাদী শাসকগোষ্ঠী নিজেদের টিকে থাকার জন্য দেশের বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে আপস করছে।

প্রবন্ধে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, রোহিঙ্গা ইস্যুতে দেশে চলমান যে মানবিক ট্র্যাজেডি টেকসই এবং অর্থবহ পদক্ষেপের দাবি রাখে। গণহত্যা ক্লিয়ারেন্স অপারেশনের ছয় বছর অতিবাহিত হলেও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রত্যাবাসনে অগ্রগতির অব্যাহত অভাব গভীরভাবে উদ্বেগজনক এবং অগ্রহণযোগ্য।

বিএনপির আমলে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের ব্যাপারে খালেদা জিয়ার ভূমিকা উল্লেখ করে প্রবন্ধে বলা হয়, বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ১৯৯২ সালে বড় ধরনের দমনপীড়নের পর যখন আড়াই লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় চেয়েছিলেন তখন মিয়ানমারের ওপর একই ধরনের চাপ প্রয়োগ করেছিলেন। কুতুপালং এবং নয়াপাড়ার দুটি শরণার্থী শিবিরে মাত্র একটি ভগ্নাংশ অবশিষ্ট রেখে কমপক্ষে ২ লাখ ৩৬ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছিল মিয়ানমার।

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান লে.জে. মেজর ইব্রাহিম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

এছাড়াও ইউএস, ইউএনডিপি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউএস এইড, ইউকেএইড, জাইকা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মান, ইরান, সুইডেন, নেদারল্যান্ডসসহ ১৫টি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

এমআই