৭ দফা দাবিতে রাজধানীতে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ
Share on:
সরকারের পদত্যাগ, কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন এবং নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতকরণসহ ৭ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
বুধবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র মতিঝিল থেকে শুরু হয়ে ইত্তেফাক মোড়ে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত, হাফেজ রাশেদুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।বিক্ষোভ মিছিলে হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করে।
মিছিলোত্তর সমাবেশে কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান বলেন, অবৈধ সরকার গুম, খুন, দুর্নীতির মাধ্যমে দেশটাকে ধ্বংসের ধারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশকে তাদের দলীয় সম্পদে পরিণত করেছে। সংসদকে তারা দলীয় অফিস বানিয়ে ফেলেছে। আর প্রশাসনকে দলীয় ক্যাডার বাহিনীতে পরিণত করেছে। ফ্যাসিবাদী সরকার গত ১৫ বছরে এদেশের ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছে। আলেম-ওলামাদের কারাবন্দি করে নির্যাতন করছে। দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলো পরিণত হয়েছে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের মিনি ক্যান্টনমেন্টে। চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি, সন্ত্রাস ও র্যাগিংয়ের মাধ্যমে দেশের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। ছাত্র সমাজ তার অবসান চায়।
গত ১৫ বছরে আওয়ামীলীগ এদেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ফেলেছে। আ.লীগের নেতারা এদেশের অর্থ লুট করে, রিজার্ভ ও রাষ্ট্রীয় কোষাগার খালি করে বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। অবৈধ সরকারের ক্ষমতা তছনছ করে দেওয়ার জন্য ছাত্রসমাজ রাজপথে নেমে এসেছে। প্রত্যেক দুর্নীতিবাজের বিচার বাংলার মাটিতে হবে, ইনশাআল্লাহ।”
তিনি বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির ৭ দফা দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছে। অবিলম্বে অবৈধ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাস্তবায়ন করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। ছাত্রশিবিরের অফিসগুলো খুলে দিতে হবে। সন্ত্রাসমুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাস ও সকল সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
শিবির সভাপতি বলেন, ছাত্রশিবির কখনো জুলুমের কাছে মাথা নত করেনি। আমরা আমাদের দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরবো, ইনশাআল্লাহ।”
তিনি ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের করালগ্রাস থেকে প্রিয় মাতৃভূমিকে রক্ষায় ছাত্রসমাজকে রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।