ভোটার আনার দায়িত্ব প্রার্থীদের, পরিবেশের দায়িত্ব ইসির : রাশেদা
Share on:
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার দায়িত্ব মূলত প্রার্থীদের, আর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার পরিবেশ তৈরি এবং বজায় রাখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।
আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জনপ্রশাসনসহ প্রত্যেকটা হেল্পিং হ্যান্ড বলেছেন সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় আছে, থাকবে এবং আরও উন্নতি হবে। আমরা তাদের প্রতি আস্থা রেখেছি। আমরা বিশ্বাস করি একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর ভোট হবে।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রিসাইডিং অফিসার, প্রার্থী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
প্রার্থীদের আশ্বস্ত করার প্রতিফলন দেখা যাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, এ বিষয়ে সন্দেহ করার কোনো কারণ নেই। প্রতিফলন তারা (ভোটার) দেখতে পাবেন। আমরা ১ হাজার ২০০ নির্বাচন করে ফেলেছি। সেই সময়ে প্রতিকারের যে ব্যবস্থা আমরা নেয়েছি, তা অতীতে ফিরে গেলেই আপনারা (সাংবাদিক) দেখতে পাবেন। আমরা শুধু মুখের কথা বলি না, কাজও করি। আমাদের কথা এবং কাজ এক।
ভোটারদের ভোট দেওয়ার প্রতি অনীহা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ভোটারদের আমি বলব আপানারা কেন্দ্রে আসেন এবং ভোট দেন। কারণ ভোট আপনার নাগরিক অধিকার। আপনার অধিকার আপনি প্রয়োগে সচেষ্ট থাকেন। আন্তরিকতা নিয়ে আসেন। আপনি নির্ভয়ে আসেন। আপনাদের ভোটাধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আমরা কিন্তু আইন করেছি। কেউ আপনাকে বাধা দিলে, হুমকি দিলে আপনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আনলে অবশ্যই তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
ভোটার উপস্থিতি ভালো না হলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা নেই। কারণ আমরা বিশ্বাস করি ভোটাররা আসবে। আমরা আশাবাদী মানুষ। ভোটাররা আসবে না এ কথা আমি আগেই মাথায় নেব না। আমরা আশাবাদী, ইনশাআল্লাহ ভোটাররা অবশ্যই আসবে।
ভোটে সাংবাদিকদের বাধা-হুমকি ও নিরাপত্তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, আগে আপনাদের (সাংবাদিক) নিরাপত্তার বিষয়ে কিছুই বলা ছিল না। আমরা কিন্তু আইন সংশোধন করেছি। যদি আপনাদের কেউ ভয়ভীতি দেখায়, হুমকি দেয়, আপনাদের সরঞ্জাম যদি কেউ কেড়ে নেয়, তাহলে এটাও অপরাধের মধ্যে আসবে এবং শাস্তি পাবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং যারা মাঠে কাজ করবে তাদের নজরে আনবেন, ইনশাআল্লাহ ব্যবস্থা (শাস্তি) হয়ে যাবে।
এমএইচ