যুক্তরাষ্ট্ররের সুপার টিউসডে’ ভোটে জয় ট্রাম্প ও বাইডেনের
Share on:
সুপার টিউসডে’-তে ১৬টি অঙ্গরাজ্য ও একটি অঞ্চলে ভোটাভুটির পর দুই দলের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে জিতছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ও বার্তাসংস্থাগুলো জানিয়েছে, প্রত্যাশামতো রিপাবলিকানের হয়ে ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাটের হয়ে বাইডেনই জিতছেন বা জিততে চলেছেন।
এতে করে তারাই আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দুই দলের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে গেছেন। ফলে গত নির্বাচনের মতো এবারও বাইডেন বনাম ট্রাম্পের লড়াই দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সুপার টিউইসডে-র লড়াইয়ে ট্রাম্প নর্থ ক্যারোলিনা, ভার্জিনিয়া, কলোরাডো, টেনেসি, টেক্সাস, আরাকানসাস, আলাবামা, ওকলাহোমা ও মেইনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী নিকি হ্যালির থেকে অনেকটাই এগিয়ে আছেন ও জিততে চলেছেন। ভেরমন্টে দুজনের সমানে সমানে লড়াই হচ্ছিল।
বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী নিকি হ্যালি ভেরমন্ট জিতে নিয়েছেন। এপি আরও জানিয়েছে, ট্রাম্প এবং বাইডেন মিনেসোটাতে জিততে চলেছেন।
এদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ট্রাম্প সুবিধাজনক জায়গায় চলে গেছেন। ট্রাম্প বলেছেন, সুপার টিউসডে তার কাছে একটা অসাধারণ দিন হতে চলেছে। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনকে হারিয়ে তিনিই আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।
ট্রাম্প বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর সীমান্তের অবস্থা ভয়ঙ্কর এবং সেখানে আইন বলে কিছু নেই। আমাদের সীমান্তে একটি তৃতীয় বিশ্বের দেশ রয়েছে।’
মার্কিন নির্বাচনী ব্যবস্থায় ভোটাররা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী নির্বাচন করার জন্য নিজেদের অঙ্গরাজ্যের ওপর নির্ভর করে প্রাথমিক নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যায়। দ্বিতীয় দফায় সম্মেলনের সময় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। ২০২৪ সালের নভেম্বর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
অন্যদিকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার এই দৌড়ে বাইডেন ১৩টি অঙ্গরাজ্যে জিততে চলেছেন। এছাড়া আইওয়াতেও তিনি জিতবেন বলে সমীক্ষার ফল বলছে। ফলে বাইডেনই ডেমোক্র্য়াটদের প্রার্থী হওয়ার লড়াইয়ে অনেকটা এগিয়ে আছেন।
বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ট্রাম্প আমেরিকাকে আবার পিছিয়ে নিয়ে যেতে চান। তার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ভোটদাতারা তাকেই বেছে নিয়েছেন।
বাইডেন দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্ট হিসাবে তিনি মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করেছেন, তাদের আয় বাড়িয়েছেন। মানুষের সামনে এখন বিকল্প একটাই, তারা তাদের কর্মসংস্থান ও আয়ের নিশ্চয়তা চান, নাকি তারা চান ট্রাম্প আবার আগের মতো দেশ চালান।
বাইডেন বলেছেন, ট্রাম্প প্রতিশোধ নিতে চান, তিনি এলে মেয়েদের অধিকার খর্ব হবে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে নিজের সিদ্ধান্ত কার্যকর করবেন। যারা স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আমেরিকায় বিশ্বাস করে, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তাদের সামনে তাই এটাই সুযোগ। তাদের সেই সুযোগ কাজে লাগাবার অনুরোধ করেছেন বাইডেন।
এসএম