সংসদীয় আসনের সীমানার দাবি-আপত্তির প্রজ্ঞাপন জারি
Share on:
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য দাবি-আপত্তিগুলোর শুনানি আগামী ৩ মে শুরু হয়ে শেষ হবে ১৪ মে। এক্ষেত্রে যারা সীমানা পরিবর্তনের আবেদন করেছেন তারা চাইলে কেবল আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব মো. আবদুল বাতেন এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ নির্দেশনা দিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এলাকা ভিত্তিক নির্বাচনী এলাকাগুলোর পুনর্নির্ধারিত সীমানা সম্পর্কে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে যারা নির্বাচন কমিশনে লিখিত আপত্তি/পরামর্শ দাখিল করেছেন, তাদের অবগতির জন্য এ মর্মে জানানো যাচ্ছে যে, নির্বাচন কমিশন প্রকাশ্য শুনানির মাধ্যমে তাদের আপত্তি/পরামর্শসমূহ নিষ্পত্তি করবেন। এক্ষেত্রে পাঁচটি নির্দেশনা রয়েছে সংশ্লিষ্টদের জন্য।
(ক) শুনানিতে শুধুমাত্র গেজেটে বর্ণিত নীতিমালার ব্যত্যয় সংক্রান্ত আপত্তি/পরামর্শসমূহ বিবেচনা করা হবে।
(খ) নতুনভাবে উত্থাপিত কোনো আপত্তি/পরামর্শ গ্রহণ করা হবে না এবং ১৯ মার্চ ২০২৩ তারিখের পর প্রাপ্ত আপত্তি/পরামর্শ বিবেচনা করা হবে না।
(গ) আপত্তিকারী/পরামর্শকারী বা তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত কৌসলী/আইনজীবিকে ছাড়া অন্য কেউ তার পক্ষে শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
(ঘ) আপত্তিকারী, পরামর্শকারীকে শুনানিতে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে।
(ঙ) কোনো অবস্থাতেই আপত্তি পরামর্শ শুনানির তারিখ ও সময় পরিবর্তন করা হবে না।
(চ) স্থান সংকুলানের সমস্যা হলে শুনানি কক্ষে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
কুমিল্লা অঞ্চলের আবেদনগুলোর শুনানি হবে ৩ মে, সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত শুনানি চলবে। ৭ মে অনুষ্ঠিত হবে রাজশাহী অঞ্চলের শুনানি, চলবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
ময়মনসিংহ, ফরিদপুর ও ঢাকা অঞ্চলের শুনানি হবে আগামী ১১ মে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এছাড়া খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের শুনানি হবে আগামী ১৪ মে সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
সংসদীয় আসনগুলোর খসড়া গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করেছিল ইসি। সে সময় গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে বলা ছিল, ১৯ মার্চের মধ্যে আপত্তি থাকলে উত্থাপন করতে হবে। এতে ৩৮টি সংসদীয় আসনে পরিবর্তন চেয়ে মোট ১৮৬টি আপত্তি আসে ইসিতে।
নির্বাচন কমিশনার ও সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি প্রধান মো. আলমগীর এ বিষয়ে বলেন, আমরা প্রশাসনিক অখণ্ডতাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি। জনসংখ্যার প্রাধান্য সবচেয়ে কম দিচ্ছি। কেননা, জনসংখ্যাকে প্রাধান্য দিলে ঢাকার মতো শহরে আসন সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে।
এমআই