ছাত্রলীগ নেতার পর একই নারীর সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যানের ভিডিও ভাইরাল
Share on:
বরগুনার তালতলী উপজেলার পচাঁকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের সঙ্গে এক নারীর আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এর আগে তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠুর সঙ্গে ওই একই নারীর আরেকটি আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত থেকে চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের আপত্তিকর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে তালতলীসহ বরগুনা জেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ওই নারীর সঙ্গে একটি রুমে আপত্তিকর অবস্থায় রয়েছেন। ভিডিও দেখে বোঝা যায় ওই নারী মোবাইল ফোন অথবা অন্য কোনো ডিভাইস দিয়ে তাদের নিজেদের আপত্তিকর অবস্থায় শুয়ে থাকার ভিডিও ধারণ করছেন। তবে আব্দুর রাজ্জাক এ সময় কোনো বাধা দেননি।
অপরদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রলীগ নেতা মিঠু ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে ভিডিও ভাইরাল হওয়া ওই নারীর নাম উল্লেখসহ আরও ৭-৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে গত ১২ এপ্রিল পর্নোগ্রাফি আইনে তালতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান বাচ্চু মিয়া এ মামলাটি করেন। দায়েরকৃত ওই মামলায় আব্দুর রাজ্জাককে ১ নম্বর ও মিঠুকে ২ নম্বর সাক্ষী রাখা হয়েছে। বর্তমানে এ মামলায় ওই নারী জেলহাজতে রয়েছেন।
মামলার বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, তালতলী থানায় বাচ্চু চেয়ারম্যান বাদী হয়ে পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
বরগুনা জেলার সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি মনির হোসেন কামাল বলেন, ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে আমাদের মনে হয়েছে রাজনীতিবিদ ও জনপ্রতিনিধিদের নৈতিক অবক্ষয় ঘটেছে। তারা দাবি করেছে তরুণী প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভিডিও তৈরি করেছেন। তবে মনে হয়েছে তরুণীর পক্ষে একা ভিডিও তৈরি করা সম্ভব নয়। ইতোমধ্যে ওই তরুণীকে একটি মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে। আমাদের দাবি, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক। শুধু তরুণী একা দায়ী নাকি রাজনীতিবিদ ও জনপ্রতিনিধিরা দায়ী তা খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
এনএইচ