ডলারের দাম বাড়ায় বেশি চাপে রপ্তানিকারকরা
Share on:
নতুন করে ডলারের দাম বাড়ায় দেশের রপ্তানিকারকরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বলে জানিয়েছেন পূবালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুরুর রহমান।
তিনি বলেন, দেশে ডলার সংকট এখনো কাটেনি। উল্টো নতুন করে ডলারের দাম বেড়েছে। এতে রপ্তানিকারকদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এখন ডলারপ্রতি বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১৭ টাকারও বেশি গুনতে হচ্ছে রপ্তানিকারকদের। ডলারের দাম পুরোপুরি বাজারভিত্তিক না হওয়ায় এ সমস্যা হয়েছে।
সোমবার (১৩ মে) দেশের ব্যাংক চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে বিভিন্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে পূবালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, এখন সংকট রয়েছে ডলারের। ১১৭ টাকায়ও ডলার পাচ্ছেন না রপ্তানিকারকরা। তাদের কিনতে হচ্ছে আরও বেশি দামে।
সুদহার বেড়ে যাওয়া এবং এক বছর না যেতেই ‘স্মার্ট পদ্ধতি’ থেকে সরে আসার বিষয়ে মনজুরুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, এর আগে এরকম ছিল না। এখন নীতি সিদ্ধান্তগুলো ফেল করছে। ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বারবার নীতি পরিবর্তনে বাধ্য হতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ডলারের দাম বাজারভিত্তিক করার বিকল্প নেই। অন্য দেশেও ডলারের দাম অনেক বেশি। আমাদের এখানে এতদিনে জোর করে চাপিয়ে রাখা হয়েছে। একদিনে এক লাফে ৭ টাকা দর বাড়ানোরও যথার্থ কারণ ছিল। কারণ ছাড়া কোনো কিছু হয় না বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক করে না।
খোলাবাজারে ডলার ১২৫ টাকা
অন্যদিকে ডলারের দাম এক লাফে ৭ টাকা বাড়ানোকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন না ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, ডলারের বাজার আটকে রাখায় যেমন ইতিবাচক দিক নেই, একই ভাবে একবারে বেশি দাম বাড়ানোতেও যুক্তি নেই। ধীরে ধীরে দাম বাড়ালে বাজারে অস্থিরতা হতো না বলেই মত তাদের। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে খোলাবাজারের সঙ্গে ব্যবধান কমবে।
যদিও খোলাবাজারে ডলারের দামে এখনো বেশ ফারাক রয়েছে ব্যাংকের সঙ্গে। বর্তমানে মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২১ টাকায়। আর ব্যাংকে এলসি খুলতে ১১৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৮ টাকা দর নিচ্ছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।
এমএইচ