tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৪০ পিএম

কোন পথে ইসরায়েলের হামলার জবাব দিতে যাচ্ছে ইরান


image_79600_1712723040

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে বোমা হামলা চালিয়ে কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। ১ এপ্রিল চালানো এই হামলার জবাব দিতে চাইছে ইরান।


ইসরায়েলি হামলার কঠোর জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তবে ইরান এমন কোনো কাজও করতে চায় না যার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

ইরান মনে করে, পাল্টা জবাব না দিলে আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে ইরানের গ্রহণযোগ্যতা ক্ষুণ্ন হতে পারে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি নিজেও ইসরায়েলের হামলার দৃশ্যমান জবাব দিতে চান বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়েও ভাবতে হচ্ছে খোমেনিকে।

এমন পরিস্থিতিতে ইরান কীভাবে ইসরায়েরের হামরার জবাব দেবে তা নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ। ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ইরান সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে এই আশঙ্কায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে তেলআবিব। ইরানের সামনে খোলা আছে কয়েকটি পথ।

মধ্যপ্রাচ্যে ইরানপন্থি অনেক সশস্ত্র গোষ্ঠী রয়েছে। ইয়েমেনের হুতিরা লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। হামলা চালাতে তারা ইরানের তৈরি অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এ ছাড়া দক্ষিণ ইসরায়েলে ইরানের তৈরি উচ্চ প্রযুক্তির ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে হুতিরা। তবে সেসব হামলা তেমন একটা কাজে আসেনি।

২০২০ সালের সোলাইমানির মৃত্যুর পর যেভাবে ইরান জবাব দিয়েছিল, একইভাবে ইসরায়েলের ভূখণ্ডেও হামলা চালাতে পারে দেশটি। এটিই হয়তো প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আলী খোমেনির সামনে সেরা উপায়। তবে এর জেরে ইসরায়েলের কঠোর পাল্টা হামলার শিকার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যার শেষটা হয়তো ইরানের জন্য ভালো হবে না।

লেবানন থেকেও ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে ইরান। হিজবুল্লাহকে দশকের পর দশক ধরে আধুনিক মানের ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট ও ড্রোন দিয়ে শক্তিশালী করেছে তেহরান। গাজা সংঘাত শুরুর পর সেগুলোর তেমন ব্যবহারও হয়নি। তবে লেবানন থেকে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অর্থ হবে সময়ের আগেই হিজবুল্লাহর হাতে থাকা সবচেয়ে ভালো তাসগুলোর একটিকে ব্যবহার করে ফেলা। এতে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে ইতিমধ্যে বিপজ্জনক রূপ ধারণ করা পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে। ইরান ও হিজবুল্লাহ আবার এটা চায় না।

নিজেদের কনস্যুলেটে হামলার পর ইরান হুমকি দিয়ে বলেছে, এখন ইসরায়েলের কোনো দূতাবাসই নিরাপদ নয়। এই হুমকি অনুযায়ী ইসরায়েলের কোনো দূতাবাসেও হামলা চালাতে পারে তারা। সতর্কতা হিসেবে এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশে ২৮টি দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল সরকার।

তবে এমন কোনো হামলা চালানো হলে যে দেশে ওই দূতাবাস অবস্থিত, সে দেশের সরকারের সঙ্গে তেহরানের সম্পর্ক খারাপ হতে পারে এটাও মনে রাখতে হবে ইরানকে।

এনএইচ