রিজার্ভ সংকট মোকাবিলায় সহযোগিতা চেয়ে চীনকে প্রস্তাব বাংলাদেশের
Share on:
রিজার্ভ সংকট মোকাবিলায় সহযোগিতা চেয়ে চীনকে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। এমন তথ্য জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের চীন সফর দুই দেশের কৌশলগত উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে সাজানো হয়েছে। রিজার্ভ সংকট মোকাবিলায় সহযোগিতার চেয়ে বাংলাদেশ চীনকে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরে এ নিয়ে নতুন ঘোষণা বা যুগান্তকারী পদক্ষেপ আসবে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রদূত।
ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে অনেকদিন ধরেই একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ রয়েছে, যা উন্নয়ন ত্বরান্বিত করেছে। চীনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ সফরে আগামী ৫ বছর বা তারও পরেও দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করার পথ সুদৃঢ় হবে। এ সফরে দুই দেশ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। দুই দেশের মধ্যে উইন উইন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্ক পাঁচটি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে। যেখানে সার্বভৌম স্বাধীনতা সম্মান করা হয়। চীন বাংলাদেশে সর্বোচ্চ নির্ভরযোগ্য অংশীদার। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন নিয়ে আমরা পরিকল্পনা করেছি, যার বিস্তারিত যথাসময়ে ঘোষণা করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর সফরে কয়টি দলিল সই হতে পারে- এমন প্রশ্নে ইয়াও ওয়েন বলেন, এ সম্পর্কে আমি বলার উপযুক্ত নই। তবে আমি বলতে পারি এ সফরে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) প্রকল্প, চীনা বিনিয়োগ, রোহিঙ্গা সংকট সমাধান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ক জোরদারের বিষয়েও আলোচনা হবে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে চীন সব পক্ষকে একত্রিত করে ইতিবাচক কাজ করে যাচ্ছে। গত বছর চীন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার এ নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করেছে। এটি দুর্ভাগ্যজনক, গত বছরের সেপ্টেম্বরে মিয়ানমারের সংঘর্ষ শুরু হলে এ নিয়ে অগ্রগতি স্থগিত হয়ে যায়। রাখাইনে যুদ্ধ চীনের একার পক্ষে বন্ধ করা সম্ভব না। আশিয়ানসহ সবাইকে কাজ করতে হবে।
ব্রিকসে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ার বিষয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ব্রিকসে সদস্য হতে চীন সহযোগিতা করবে। শিগগির বাংলাদেশ ব্রিকসের সদস্য হবে বলে আশা করি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিক্যাব সভাপতি নূরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু।
এমএইচ