ইসরাইলের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই সুখবর পেল ইরান
Share on:
বিগত ৬ বছরের মধ্যে যে কোনো সময়ের চেয়ে চলতি বছরে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে ইরানের তেল রপ্তানি। যার ফলে প্রতিবছর দেশটির অর্থনীতিতে অন্তত ৩৫ বিলিয়ন ডলারের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। খবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের।
জ্বালানি বাজারের তথ্যবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ভরটেক্সার হিসাবের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ইরান প্রতিদিন গড়ে ১৫ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল তেল রপ্তানি করেছে। এই তেলের বেশিরভাগই কিনেছে চীন। ২০১৮ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের পর চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেই সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেল রপ্তানি করেছে ইরান।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইরান ও ইসরাইলের প্রতি সংযত আচরণের আহ্বান জানালেও দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র বাগযুদ্ধ চলছে এখনো। ইসরাইল ইরানে পাল্টা আক্রমণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং ইরানও সেই হামলার কড়া জবাব দিতে প্রস্তুত।
এ অবস্থায় বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাংলাদেশ সময় গত মঙ্গলবার সকাল ৬টায় বেশ খানিকটা বৃদ্ধি পায়।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী জুন মাসে সরবরাহের জন্য অপরিশোধিত ব্রেন্ট ফিউচার্সের চুক্তিমূল্য ব্যারেলপ্রতি ৪৬ সেন্ট (মার্কিন মুদ্রা ডলারের সর্বনিম্ন একক। এক ডলার সমান ১০০ সেন্ট) বা দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ৯০ দশমিক ৫৬ ডলারের উঠেছে।
আর মে মাসে সরবরাহের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ডব্লিউটিআইয়ের চুক্তিমূল্য ব্যারেলপ্রতি ৪৩ সেন্ট বা দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ৮৫ দশমিক ৮৪ ডলারে উঠেছে।
ইসরাইলের ইরানি হামলা কারণে বিশ্ববাজারে গত সোমবার জ্বালানি তেলের দাম নিম্নমুখী ছিল। তবে ইসরাইলি পাল্টা আক্রমণের হুংকারের পর সেই দাম আবার চড়তে শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, দেশটি বিশ্বের শীর্ষ জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী রাষ্ট্রগুলোর জোট ওপেকেরও সদস্য।
এনএইচ