গাজীপুরের চন্দ্রায় বেড়েছে যানবাহনের চাপ, থেমে থেমে চলছে গাড়ি
Share on:
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘরমুখো মানুষের যাত্রা।
সোমবার শিল্প কারখানা ছুটির পর গাজীপুরের মহাসড়কে মানুষের ঢল নামে। গতকাল মধ্যরাত পর্যন্ত সেখানে তীব্র যানজট ছিল। সকালে কিছুটা কমে এলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা, ভোগরা বাইপাসসহ আশেপাশের এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। পুরো পথ জুড়ে থেমে থেমে চলছে যানবাহন। গণপরিবহন সংকটে গাড়ি না পেয়ে অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়ায় খোলা ট্রাক, পিকআপ ও বাসের ছাদে করে বাড়ি যাচ্ছেন।
গাজীপুরের চন্দ্রার তিনটি মোড়েই যানবাহনের দীর্ঘ সারি লক্ষ্য করা গেছে। সাভার, আশুলিয়া, নবীনগর, বাইপাল ও কবিরপুর এলাকা থেকে চন্দ্রা প্রবেশমুখ, চন্দ্রা পাড় হয়ে টাঙ্গাইলগামী মহাসড়কে যানবাহনে চলছে থেমে থেমে। এ ছাড়া গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা ও ভোগরা বাইপাসে যানবাহনের চাপ রয়েছে। মহাসড়কের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য দিনরাত কাজ করছেন।
পুলিশ, যাত্রী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকার শিল্পকারখানা ছুটি ঘোষনা হলে দুপুরের পর থেকে মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের ঢল নামে। অতিরিক্ত মানুষ আর যানবাহনের চাপে বিকেল থেকেই শুরু হয় যানজট। ইফতারের পর সেই যানজট আর মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে। এরপরে থেমে থেমে যানবাহন চললেও মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত একই অবস্থা দেখা গেছে মহাসড়ক দুটিতে। তবে সকল ৯টার পর থেকে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হলেও কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ও আশপাশ এবং গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা, ভোগাড়সহ আশপাশের এলাকায় থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, গত রাতে বেশ যানজট থাকলেও রাত দুইটার পর থেকে যানজট কমে আসে। তবে সকাল থেকে আবার যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে, এখন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
নাওজোড় হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, চন্দ্রাকে কেন্দ্র করে সারারাত যানবাহনের ধীরগতি থাকলেও সকালে কিছুটা কমতে শুরু করেছে। এখনও আশপাশে যানবাহনের সাড়ি থাকলেও থেমে থেমে যানবাহন চলছে। বিকেলের মধ্যে চাপ অনেকটা কমে যাবে।
এনএইচ