tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
প্রকাশনার সময়: ০৫ নভেম্বর ২০২১, ১৮:২৪ পিএম

অরুণাচলে বেসামরিক গ্রাম তৈরী করেছে চীন: মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়


অরুণাচল.jpg

২০২০ সালে চীনের স্বায়ত্বশাসিত তিব্বতের অংশ এবং অরুণাচলের পূর্বাঞ্চলে বিতর্কিত জমিতে গ্রাম বানিয়েছে চীন। বেসামরিক কাজেই গ্রাম ব্যবহার হচ্ছে বলে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে।


চীন অরুণাচল সীমান্তে একটি গ্রাম বানিয়েছে বলে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক রিপোর্টে জানা গেছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক রিপোর্টে চীনের সামরিক প্রস্তুতি ও ভূমি আগ্রাসন নিয়ে বিস্তৃত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

শিগগিরই মার্কিন কংগ্রেসে জমা দেওয়া হবে ওই রিপোর্ট। রিপোর্টে অরুণাচলে চীনের গ্রাম তৈরির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

তবে শুধু ভারতের জমিতে নয় চীন তিব্বতের অংশও দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

অরুণাচল.jpg

রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের কোনো এক সময় গ্রামটি তৈরি করা হয়েছে।

চীনের স্বায়ত্বশাসিত তিব্বতের অংশ এবং অরুণাচলের পূর্বাঞ্চলের বিতর্কিত জমিতে গ্রাম বানিয়েছে চীন। গ্রামটিতে অন্তত একশটি বাড়ি রয়েছে।

বেসামরিক কাজেই গ্রামটি ব্যবহার হচ্ছে বলে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে। সারি চু নদীর তীরে অরুণাচলের সুবনসিরি জেলার একটি অংশে গ্রামটি বানিয়েছে চীন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, এখনও গ্রামটিতে উন্নয়নের কাজ চলছে। এই অঞ্চলে আগে চীনের একটি চেকপোস্ট ছিল বলে জানা গেছে।

এদিকে ভারত অভিযোগ এনেছে, লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেই অরুণাচল সীমান্তে চীনা আগ্রাসনের।

অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তের উত্তর সুবনসিরি জেলায় গ্রাম তৈরির অভিযোগ উঠেছে চীনা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে।

তাসরি চু নদীর তীরে বানানো ওই গ্রামে প্রায় ১০১টি ঘর তৈরি করেছে চীনা সেনাবাহিনী।

উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে ওই গ্রামের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এই ছবি ২০২০ সালের ১ নভেম্বর তোলা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

অরুণাচল.jpg

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৬ আগস্ট ঠিক একই এলাকার একটি উপগ্রহ চিত্রও প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ছবিতে জঙ্গলাকীর্ণ নদীর তীরে জনবসতির কোনও চিহ্ন নেই।

আড়াই মাস আগে তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে সেখানে কিছু বাড়ি তৈরি করা হয়েছে।

ভারতের দাবি, ওই এলাকার অবস্থান এলওসির কমপক্ষে সাড়ে ৪ কিলোমিটার ভেতরে অর্থাৎ ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে।

মোদী১.jpg

এদিকে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই খবরের সরাসরি বিরোধিতা করা হয়নি।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত কয়েক বছরে চীন এলওসি বরাবর পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করছে। এ বিষয়ে সাম্প্রতিক কিছু রিপোর্টও হাতে এসেছে।

প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে অরুণাচলের বিজেপি সাংসদ টাপির অভিযাগ করেছিলেন, আপার সুবনসিরি জেলায় এলওসি পেরিয়ে ভারতীয় এলাকায় ঢুকে স্থায়ী কাঠামো বানাচ্ছে চীন।

উল্লেখ্য, নভেম্বরেই ডোকলামের অদূরে ভুটান সীমান্তের ২ কিলোমিটারেরও বেশি ভিতরে এসে ‘পাংদা’ নামে একটি গ্রাম তৈরির অভিযোগ উঠেছিল চীনের বিরুদ্ধে। যদিও চীনা পররাষ্ট্র দফতর সেই অভিযোগ অস্বীকার করে।

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার, টাইমস্ অফ ইন্ডিয়া, ডেইলি মেইল।

এইচএন