সংযমের মাস রমজান, লেবুর হালি ১৬০ টাকা
Share on:
সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেগুনের কেজি ৫০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা, শসা ৬০ টাকা থেকে ৯০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, লম্বা বেগুন মানভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ও লেবুর হালি ১২০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এই দাম এক সপ্তাহের মধ্যে বেড়েছে। রোজায় এই সব পণ্যের চাহিদা বেশি থাকার কারণে খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বলে জানান ক্রেতারা।
শনিবার (২৫ মার্চ) জেলার জামালগঞ্জ সদরে সরকারি জায়গায় নির্মিত মাছ-সবজি বাজারে সবজি লেবুর হালি ১২০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
সুনামগঞ্জ জেলা শহরসহ উপজেলার স্থানীয় বাজারগুলোতে সব প্রকার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দেখা দিচ্ছে। বিভিন্ন বাজারে বেড়েছে বেগুন, শসা, লেবুসহ অন্য কাঁচামালের দাম। বেড়েছে মাছের দামও। বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ, শাক-সবজি থাকলেও রমজানের কারণে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এ কারণে ক্রেতারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে অভিযোগ প্রকাশ করছেন।
ক্রেতা রহিম আলী বলেন, রমজানের কারণে বাজারে সব পণ্যের দাম বেড়েছে। যা কয়েকদিন আগেও বেশ কম ছিল।
অপর ক্রেতা বশির আলী বলেন, ‘রমজান আসার আগেই বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম দিন দিন বেড়ে চলেছে। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও রমজানে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সপ্তাহের ব্যবধানে কোনো কোনো পণ্যের দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। আমরা সাধারণ মানুষ (বিপাকে) আছি।’
জরিনা বেগম বাজারে মাছ কিনতে এসে বলেন, ‘রমজানে মানুষ হকভাবে চলার চেষ্টা করে। আর ব্যবসায়ীরা কী যে আরম্ভ করছে কইয়া লাভ নাই। মাছের দামও দিন দিন বাড়াইয়া দিছে, এইডা কি ব্যপার।’
জেলা শহরসহ বিভিন্ন বাজারে রুই মাছের কেজি ৪১০ টাকা, চিংড়ি এক হাজার টাকা, বড় সাইজের কাতল ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা, ইলিশ মাছ ৫০০ থেকে ১২০০ টাকা, টেংরা ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
স্কুল ছাত্র ঈশান বলে, ‘জামালগঞ্জে সবজি বাজারে ১টি লেবু ৩০ টাকায় কিনেছি। দাম খুব বেশি।’
জামালগঞ্জের বাজারে আসা রফিক মিয়া বলেন, ‘বাজারে রমজান উপলক্ষে সব জিনিসের দাম বাড়াইছে। মাছের দামও, আর লেবু তো উফায়ই নাই যা হারে বাড়ছে। সব ধরনের মাছের দাম প্রতি কেজি ১৬০-২৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়ছে। দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। দেখার কেউ নাইরে ভাই।’
এন