tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ২৩ নভেম্বর ২০২২, ২১:২৫ পিএম

ঝামেলা না করে সমাবেশের স্থানের অনুমতি দিন: ফখরুল


ফ

কোনো ঝামেলা না করে আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সমাবেশ করার ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘তারা (পুলিশ) সমাবেশের স্থান দেয়নি এখনো। পল্টনে সমাবেশ করার কথা বলা হয়েছে। কোনো ঝামেলা না করে সমাবেশের স্থানের অনুমতি দিন।’


তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব এখন সরকারের, বিএনপি নিয়ম মেনে সমাবেশের আবেদন করেছে।’

বুধবার (২৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল। ‘দেউলিয়াত্ব ঘোচাতে দুর্ভিক্ষের নাটক? দেশ কোন পথে’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে নাগরিক ঐক্য।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট না দেখে আওয়ামী লীগ নেতারা মালয়েশিয়া, কানাডা, সিঙ্গাপুরের রঙিন জীবন দেখছেন। আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ দেউলিয়া হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে দুর্ভিক্ষ হয়। আওয়ামী লীগের যারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকে তাদের দুর্নীতি ও লুটপাট দুর্ভিক্ষের অন্যতম কারণ।’

তিনি বলেন, ‘বিধবা ভাতা বা দুস্থ ভাতার ১০ থেকে ২০ শতাংশ কেটে নেন আওয়ামী লীগ নেতারা। জাতির জন্য বোঝা হয়ে গেছে আওয়ামী লীগ। তাদের সরাতে না পারলে সবাই ডুবে যাবো। জনগণকে রক্ষা করতে দুর্বার আন্দোলনের মধ্যদিয়ে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। শুরু হয়ে গেছে তাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বাধা দেয়া। মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাদের আদালতে ব্যস্ত রাখে।’

‘সুপরিকল্পিতভাবে দেশের অর্জন নষ্ট করছে আওয়ামী লীগ। দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন তারা। এমন কোনো খাত নেই সেখানে দুর্নীতি হয় না,’ বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অনেক পুরোনো রাজনৈতিক দল, তাদের জনভিত্তি আছে, কিন্তু ক্ষমতার থাকার লালসায় তারা এখন দেউলিয়া হয়ে গেছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘নতুন করে গায়েবি মামলা শুরু করেছে। তারা ককটেল ফাটানোর কথা বললো যা কেউ শোনেননি, দেখেনি তা নিয়ে গায়েবি মামলা দিচ্ছে। পুরোনো নাটক শুরু করেছে সরকার। একদিকে মামলা নিয়ে বিএনপিকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা, অন্যদিকে সরকার তার কাজ করে যেতে পারে।’

‘সরকার পতনের আন্দোলন ভিন্নখাতে নিতেই আগুন সন্ত্রাস আর জঙ্গি নাটকের ধুয়া তুলছেন ক্ষমতাসীনরা। দেশে জঙ্গি ছিনতাই নাটক তৈরি করা হচ্ছে— উদ্দেশ্য জনগণের মূল দাবি ভিন্নখাতে নিতে চায় সরকার।’

তিনি বলেন, ‘দলীয় সরকার নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।’

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যদের মধ্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বক্তব্য দেন।

এমআই