tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ১৩ জুলাই ২০২৩, ২১:২৪ পিএম

সুদানে গণকবর থেকে ৮৭ লাশ উদ্ধার


4

সুদানের পশ্চিম দারফুর প্রদেশের দু’টি গণকবর থেকে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৮৭ জনের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতর। নিহতদের সবাই দেশটির আধা সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্টেড ফোর্সের (আরএসএফ) নিষ্ঠুরতার শিকার।


বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভোলকার টার্ক স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে পাওয়া সংবাদ অনুযায়ী জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর নিশ্চিত হয়েছে যে, গত ২০ এবং ২১ জুন পশ্চিম দারফুরের এল জেনিয়ানা জেলার আল তুরাব আল আহমারের গ্রামাঞ্চলে অভিযান চালিয়েছিল আরএসএফ এবং নিহতদের সবাই ছিল বেসামরিক মানুষ।’

এতে আরো বলা হয়েছে ২০ জুন আল তুরাব আল আহমারের একটি গ্রামে অন্তত ৩৭ জন বেসামরিক গ্রামবাসীকে হত্যা করে গণকবর দেওয়া হয়েছিল, পরে ২১ জুন আরও ৫০ জনকে হত্যা করে কবর দেওয়া হয়েছিল প্রথমটি গণকবরটির কাছাকাছি এলকায়। দ্বিতীয় গণকবরটিতে অন্তত ৮ জন নারী ও ৮ জন শিশুর দেহাবশেষ মিলেছে।

নিহতদের বেশিরভাগই সুদানের সংখ্যালঘু মাসালিট জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্ত। এছাড়া অন্যান্য জাতিস্বত্ত্বার কয়েকজনও রয়েছে তাদের মধ্যে। পশ্চিম দারফুরের এল জেনিয়ানা এলাকাটি মূলত দেশটির সংখ্যালঘু বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী অধ্যুষিত।

হত্যাকাণ্ডের পর গ্রামবাসীকে জোর করে গণকবর দু’টি খোঁড়া ও লাশগুলো দাফন করতে বাধ্য করা হয়েছিল উল্লেখ করে বিবৃতিতে ভলগার টার্ক বলেন, ‘আমরা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের প্রতি তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। নিরীহ বেসামরিক লোকজনের সঙ্গে যে নিপীড়ন মূলক আচরণ করা হয়েছে, জোর করে নিজেদের আত্মীয় পরিজনদের জন্য কবর খুঁড়তে বাধ্য করা হয়েছে— সেজন্যও নিন্দা জানাচ্ছে জাতিসংঘ।’

যে গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সেখান থেকে এল জেনিয়ানার পুলিশ সদরদফতরের দূরত্ব মাত্র ৬ কিলোমিটার।

বেসামরিক লোকজন ও জাতিসংঘসহ দেশি-বিদেশী এনজিওর সহায়তাকর্মীদের সঙ্গে সহিংসতা বন্ধ করা এবং সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের জন্য দোষী যোদ্ধাদের শনাক্ত করা এবং তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে আরএসএফের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে ভলকার টার্ক বলেন, ‘আমরা আরএসএফের প্রতি বেসামরিক লোকজন ও জাতিসংঘসহ সুদানে সক্রিয় দেশি-বিদেশি এনজিও ও সেবাসংস্থার কর্মীদের প্রতি সহিংসতা ও নিপীড়ণ বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি।’

‘সেই সঙ্গে অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী যোদ্ধাদের গ্রেপ্তার ও তাদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।’

তবে জাতিসংঘের বৃহস্পতিবারের এই বিবৃতির কোনো প্রতিক্রিয়া এখনও জানায়নি আরএসএফ।

প্রসঙ্গত, ক্ষমতার ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের জেরে গত ১৫ এপ্রিল থেকে সংঘর্ষ বাঁধে সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে। দু’পক্ষের এই সংঘাতে ইতোমধ্যে হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে পার্শ্ববর্তী ইরিত্রিয়া, ইথিওপিয়া ও দক্ষিণ সুদানে আশ্রয় নিয়েছেন অন্তত ১ লাখ মানুষ। যুদ্ধ যদি আরও দীর্ঘায়ীত হয়, সেক্ষেত্রে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ৮ লাখ ছাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।

এন