tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ০১ জানুয়ারী ২০২৪, ১১:২১ এএম

গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল, অন্ধকার গাজায় শুরু নতুন বছর


gaz_20240101_105138030
গাজার মুওয়াসি এলাকায় অস্থায়ী শিবিরে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। ছবি: এপি

নতুন বছরেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গণহত্যা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান পূর্ব গাজার জেইতুন জেলায় বেসামরিকদের লক্ষ্য করে হামলা করেছে। এতে বেশ কয়েকজন বেসামরিক লোক নিহত এবং অন্যান্য আহত হয়েছে। মেডিকেল সূত্রের বরাত দিয়ে এখবর দিয়েছে ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা।


ওয়াফা আরও রিপোর্ট করেছেন যে একটি ইসরায়েলি ড্রোন মধ্য গাজার আল-মাগাজি শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে বোমা বর্ষণ করেছে। এতে বেসামরিক মানুষ আহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই শিশু।

নুসিরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ওয়াফা জানিয়েছে, আহতদের আল-আকসা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনী রোববার দিবাগত রাতে অধিকৃত পশ্চিম তীরের অনেক এলাকায় অভিযান চালিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- আল বিরেহ শহর, বেইত ইবিয়া, হেবরনের উত্তরে বেইত উমর।

ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা দক্ষিণ অধিকৃত পশ্চিম তীরের হেব্রনের দক্ষিণে মাসাফের ইয়াত্তা এলাকায় দুই ব্যক্তিকে হাতকড়া পরিয়ে এবং চোখ বেঁধে অত্যাচার করেছে। ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই খবর দিয়েছে।

মাসাফের ইয়াত্তা গ্রাম পরিষদের প্রধান নিদাল ইউনিস বলেছেন যে, বসতি স্থাপনকারীরা সেনাবাহিনীর পোশাক পরেছিল এবং মাহমুদ ইসা মোহাম্মদকে আক্রমণ করেছিল, যখন সে তার ভেড়া চরাচ্ছিল।

বসতি স্থাপনকারীরা তখন মোহাম্মদ এবং অন্য একজনকে এমন জায়গায় নিয়ে যায় যেখানে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।

গাজায় নতুন বছরে ১৫ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর থেকে দূরে রয়েছে। জাবালিয়ার বাসিন্দা বর্তমানে দেইর এল বালাহতে আশ্রয় নেয়া নূর এল বায়েদ (৭) জানায়, 'আমি চাই আগামী বছরটি একটি ভালো বছর হোক'।

সে জানায়, 'যুদ্ধের আগে, আমি চিপস এবং চকলেট এবং জুস কিনতে পারতাম। আমি সেই সব জিনিস খাব।'

অ্যাক্টিভিস্টরা বিশ্বব্যাপী প্রচারাভিযান শুরু করেছে যাতে তারা লোকদের নতুন বছরে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায়।

রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার ৮২২ জন। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন সাত হাজার।

গাজার সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫৬ হাজার ৪৫১ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। নিখোঁজরা সবাই মারা গেছেন এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি বোমা হামলায় সামগ্রিকভাবে গাজার জনসংখ্যার প্রায় চার শতাংশ নিহত, আহত বা নিখোঁজ হয়েছেন। এ ভয়াবহ হামলায় গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। সেখানে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। গাজার প্রায় ২০ লাখ মানুষ এখন বাস্তুচ্যুত অবস্থায় আছে।

উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ওপর প্রায় দুই মাস ধরে ইসরায়েল পাশবিকতা চালিয়ে গেলেও কোনো পশ্চিমা দেশ বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন পর্যন্ত তেল আবিবকে আগ্রাসন বন্ধ করতে বাধ্য করছে না।

সূত্র: আল জাজিরা

এনএইচ