গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় ভারত পাশে ছিল, আছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সৌজন্য সাক্ষাৎ করার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় প্রণয় ভার্মা সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে নতুন মেয়াদে ভারতের অংশীদারিত্ব আরও জোরদার হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর কোনো বিদেশি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এটিই ছিল হাছান মাহমুদের প্রথম বৈঠক। চীনের প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প এবং কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (সেপা) নিয়ে এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, তিস্তা প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়নি। সেপা নিয়েও সেভাবে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক, পারস্পরিক যোগাযোগ, সীমান্ত হাট, বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে রুপি ও টাকার বিনিময়-সংক্রান্ত বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এটি জনপ্রিয় করা গেলে ডলারের ওপর বা অন্য মুদ্রার ওপর নির্ভরশীলতা কমবে। চট্টগ্রাম এবং মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের পণ্য বহনের বিষয়ে কথা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত অবকাঠামোগত সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, তাঁকে দিল্লি সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর স্পষ্টত চাচ্ছি ভারতে হবে। তিনি আরও জানান, বহুপক্ষীয় সফরে আগামী ১৭ জানুয়ারি উগান্ডা যাবেন।

বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে, যারা সন্ত্রাস-নৈরাজ্য করে, তাদের সঙ্গে আলোচনার কোনো কারণ নেই।

প্রণয় ভার্মা সাংবাদিকদের বলেন,‘নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছি। তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছি। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছি। দ্বিপক্ষীয় নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে আমরা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব।’

এনএইচ