tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ৩০ অগাস্ট ২০২৪, ০৯:৫০ এএম

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা: আদালতে হট্টগোল


case_20240829_220308045

চট্টগ্রামে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ (জয়), মেয়ে সায়মা ওয়াজেদসহ ৪২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সালাউদ্দিনের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ব্যবসায়ী মামুন আলী। মামলার অপর আসামি হিসেবে শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকও অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।

মামলার বাদীর বক্তব্য গ্রহণের পর আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিলে আদালতে হট্টগোল শুরু হয়। একপর্যায়ে বিচারক বিব্রত হয়ে আদালত কক্ষ থেকে বের হয়ে খাস কামরায় চলে যান এবং সরাসরি থানায় মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

মামলার অন্যান্য আসামির মধ্যে রয়েছেন— সাবেক সেতু ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহিদুল হক, চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার, নগর গোয়েন্দা অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার তানভীর আরাফাত, হালিশহর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব কুমার চৌধুরী, আওয়ামি লীগের নেতা এরশাদুল আমীন, হালিশহর থানার তৎকালীন এসআই জামাল উদ্দিন ও মাহবুব মোর্শেদ প্রমুখ।

মামলার আবেদনে বাদী উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালের ১৫ আগস্ট হালিশহর এলাকায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জন্মদিনের অনুষ্ঠান চলছিল। ওই সময় হালিশহর থানার ওসির নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন এবং বাদীসহ বিএনপির ১৭ কর্মীকে থানায় নিয়ে গিয়ে মারধর করেন। বাদীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়, যা তার বাবার কাছে পাঠানো ভিডিওর মাধ্যমে জানানো হয়। বাদীর বাবা ৭ লাখ টাকা প্রদান করেন। এছাড়া, ঘটনার দিন ওসি প্রণব চৌধুরী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে ভিডিও কল দিয়ে বাদীর নির্যাতনের ছবি দেখান।

বিচারককে এজলাসে হট্টগোল ও কটূক্তির মুখে পড়তে হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবীরা সরাসরি থানায় মামলা নেওয়ার দাবি জানালে, বিচারক দুই ঘণ্টা পর ফের এজলাসে ফিরে বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরাসরি থানায় মামলা নেওয়ার আদেশ দেন।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আইনজীবীরা মক্কেলের দাবি আদায়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে পারেন, তবে তা আইনের সীমার মধ্যে থাকতে হবে। আদালতের আদেশের প্রতি সম্মান জানানো উচিত।

এনএইচ