আহমাদিনেজাদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা
Share on:
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে দেশটিতে।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে দেশটিতে। এ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ। খবর ইরান ইন্টারন্যাশনালের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—আহমাদিনেজাদের সমর্থকদের দ্বারা পরিচালিত হয় ‘দোলাত বাহার’ নামে একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল। শনিবার এ চ্যানেলে সম্প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় নিজের আত্মবিশ্বাসের জানান দিয়ে আহমাদিনেজাদ তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘পরিস্থিতি ভালোর জন্যই পরিবর্তিত হচ্ছে।’
আহমাদিনেজাদ আরও বলেন, ‘পরিবর্তনগুলো খুব ঘন ঘন হচ্ছে। এটা শুধু ইরান নয়, সারা বিশ্বেই। আমি আশা করি, আমরা শিগগিরই সুন্দর পরিবর্তন দেখতে পাব।’
গত সপ্তাহে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর দেশটিতে আগামী ২৮ জুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির সংবিধান অনুসারে প্রেসিডেন্ট পদ ফাঁকা হওয়ার ৫০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আহমাদিনেজাদের এ সম্ভাব্য প্রার্থিতাকে স্বাগত জানিয়েছে তার সমর্থকরা। তাদের দাবি, তিনি দেশের অন্যতম জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
ইরানের তাবরিজের পার্লামেন্ট সদস্য আহমেদ আলিরেজা বেগি বলেন, যদি নির্বাচনে আহমাদিনেজাদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তাহলে তিনি বিজয়ী হবেন।
অতীতের নির্বাচনের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি আহমাদিনেজাদের প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে সতর্ক করেছেন। দেশটিতে ২০১৭ এবং ২০২১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির নেতৃত্বাধীন গার্ডিয়ান কাউন্সিল তার প্রার্থিতা বাতিল করেছিল।
আলিরেজা বেগি বলেন, আহমাদিনেজাদকে নিশ্চিত করতে হবে যে গার্ডিয়ান কাউন্সিল তার প্রার্থিতার অনুমোদন করবে। কেননা তিনি প্রার্থী হওয়ার পর তা বাতিল হলে এর পরিণাম আরও ভয়াবহ হবে।
২০১৭ সালে আহমাদিনেজাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছিল। ওই সময় তিনি পুরো কাঠামোর সমালোচনা করেন। এমনকি প্রকাশ্যে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনিরও সমালোচনা করেছিলেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তিনি নীরব ছিলেন।
আহমাদিনেজাদ ২০০৫ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে ইরানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এর আগে তিনি তেহরানের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ক্ষমতায় থাকাকালে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদেশগুলোর কঠোর সমালোচনা করেন। এ ছাড়া ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়েও কঠোর অবস্থানে ছিলেন তিনি।