পদ্মা সেতুর প্রভাবে যাত্রী নেই গাবতলীতে
Share on:
নগরীর অন্যতম ব্যস্ত টার্মিনালের একটি হলো গাবতলী বাস টার্মিনাল। দেশের বিভিন্ন স্থানে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে অসংখ্য যাত্রী এখানে এসে ভিড় জমান, ঈদে সে জমায়েতের পরিমাণ বেড়ে যায় অনেক গুন। কিন্তু পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পর সেই ভিড়ে নেমেছে ভাটা। আসন্ন ঈদের যাত্রা শুরু হয়ে গেলেও আশানুরূপ যাত্রীর দেখা মিলছে না গাবতলীতে।
সোমবার (৮ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখা মেলে এমন চিত্রের। মূলত বরিশাল, ফরিদপুরগামী পরিবহনের কাউন্টারগুলোকে ঈদযাত্রার এ সময়ে অলস বসে থাকতে দেখা যায়।
কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গুলিস্তান বা সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে দ্রুত সময়ে পদ্মা সেতু পার হয়ে গন্তব্যে পৌঁছানো যাচ্ছে বলে যাত্রীরা গাবতলীমুখি হচ্ছেন না।
বরিশালগামী হানিফ পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার সেলিম আহমেদ বলেন, ঈদ যাত্রা শুরু হয়ে গেলেও আমাদের এখানে যাত্রী নেই। মূলত পদ্মা সেতু চালু হওয়ার ফলে যাত্রীরা আর গাবতলীতে আসছেন না। কারণ, সায়েদাবাদ বা গুলিস্তান থেকে দ্রুত সময়ে পদ্মা সেতু পার হয়ে চলে যাওয়া যাচ্ছে। ফলে যাত্রীরা এদিকে আসার চাপ নিতে চাচ্ছেন না।
একই সুরে কথা বললেন ফরিদপুরগামী সূর্যমুখী পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, অধিকাংশ যাত্রীরা সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী বা গুলিস্তান থেকে ভ্রমণ করছেন। গাবতলী থেকে গেলে সময়ও লাগবে বেশি, ভাড়াও পড়বে বেশি। তাই ঈদের মৌসুমেও এদিকে যাত্রীদের কোনো আধিক্য নেই।
যারা গাবতলী থেকে যাত্রা করছেন, তারা অধিকাংশই আশপাশের বাসিন্দা। বরিশালগামী যাত্রী জাকির হোসেন বলেন, বাসা থেকে বাস টার্মিনাল কাছে বিধায় এখান থেকে যাত্রা করছি। ব্যাগপত্র,পরিবারসহ সায়েদাবাদ পর্যন্ত যাওয়াটা একটু কষ্টকর।
তবে অন্যান্য রুটের/জেলার বাস কাউন্টারে যাত্রীদের আনাগোনা দেখা গেছে। সেতুর কারণে যাত্রীর চাপ অনেকটা কমে যাওয়ায় অন্যান্য রুটের যাত্রীরা অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারছেন।
ঝিনাইদহগামী যাত্রী সাবরিনা বলেন, টার্মিনালে এসেই সরাসরি টিকিট কাটতে পেরেছি। কোনো ভোগান্তি বা ভিড়ের কবলে পড়তে হয়নি।
চুয়াডাঙ্গাগামী যাত্রী কামরুল বলেন, টার্মিনালে এসেই বাসের টিকিট পাওয়া গেছে, কোনো সমস্যা হয়নি।
এনএইচ