tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জীবনযাপন প্রকাশনার সময়: ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১২:৫২ পিএম

বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে রোজার উপকারিতা


download

পবিত্র কুরআন ও হাদিসে রোজা রাখার উপকারিতা, গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে কি বলা হয়েছে তা আমরা কম-বেশি সবাই জানি। কিন্তু রোজার শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতেও রোজার উপকারিতা অপরিসীম। চলুন জেনে নিই বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে রোজা আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ-


ডায়াবেটিকসের ঝুঁকি কমায়:

ডায়াবেটিকস রোগে আক্রান্তদের রোগীদের সবসময় ক্যালরি গ্রহণের ক্ষেত্রে আলাদা সতর্ক থাকতে হয়। রোজার দিনে ক্যালরি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে আলাদা একটা নিষেধাজ্ঞা কাজ করে। তাই রোজা রাখলে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।

মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি:

রমজানে দুই দিন রোজা রাখলেই শরীরে হরমোন বাড়ার হার পাঁচ গুণ বাড়ে। রমজানে রোজা রাখার মাধ্যমে মস্তিষ্কে নতুন নতুন কোষের জন্ম হয়। ফলে মস্তিষ্কের কর্মদক্ষতা বেড়ে যায়।

চর্বি কমাতে সহায়তা করে:

অতিরিক্ত খাবার গ্রহনের ফলে দেহে প্রচুর চর্বি জমে যায়, ফলে শরীর অস্বাভাবিক মোটা হয়ে যায়, যা স্বাভাবিক জীবন যাপনকে ব্যাহত করে। রোজা রাখলে শরীরে জমে থাকা চর্বি শরীরের কাজে ব্যবহৃত হয় ফলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়।

রোগ প্রতিষেধক ও প্রতিরোধের কাজ:

চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মতে রোজা একই সঙ্গে দেহের রোগের প্রতিষেধক ও প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। রোজা পালনের ফলে দেহে রোগজীবাণুবর্ধক অনেক জীবাণু ধ্বংস হয়।

রক্তচাপ থেকে বাঁচায়:

স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী ডা. আব্রাহাম জে হেনরি রোযা সম্পর্কে বলেছেন, ‘রোযা হলো পরমহিতৈষী ওষুধ বিশেষ। কারণ রোযা পালনের ফলে বাতরোগ, বহুমূত্র, অজীর্ণ, হৃদরোগ ও রক্তচাপজনিত ব্যাধিতে মানুষ কম আক্রান্ত হয়।’

অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পুনর্গঠন:

১৫ ঘণ্টা যাবতীয় খাবার গ্রহণ বন্ধ থাকে। এ সময় পাকস্থলী, অন্ত্র-নালী, যকৃত, হৃদপিণ্ডসহ অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিশ্রাম পায়। তখন এসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিজেদের পুনর্গঠনে নিয়োজিত হতে পারে।

রক্ত সঞ্চালন দ্রুত হয়:

নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ঔষুধ ও শল্য চিকিৎসার প্রখ্যাত ডা. অ্যালেকসিস বলেছেন, উপবাসের মাধ্যমে লিভারে রক্ত সঞ্চালন দ্রুত হয় ফলে ত্বকের নিচে সঞ্চিত চর্বি, পেশীর প্রোটিন, গ্রন্থিসমূহ এবং লিভারে কোষসমূহ আন্দোলিত হয়।

এন