মিরপুরে টাইগার ব্যাটারদের ‘আত্মাহুতি’
Share on:
দ্রুত আউট হওয়ার প্রতিযোগিতা করতে নেমেছেন টাইগার ব্যাটাররা। বাজে শট সিলেকশন, অহেতুক আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টা করে দলের বিপদটাই বাড়িয়েছেন তারা। সেইসঙ্গে বড় লিডের প্রত্যাশাও প্রতি মুহূর্তেই ফিকে হয়ে আসছে।
দিনের শুরুটা ছিল মুমিনুল হক আর জাকির হোসেনের হাত ধরে। দুজন মিলে যোগ করেছেন ৩৩ রান। এটিই এখন পর্যন্ত দিনের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ। মুমিনুল আউট হয়েছেন ১০ রান করে।
এজাজ প্যাটেলের বলে পুল করতে চেয়েছিলেন কিনা নিশ্চিত ছিলেন না নিজেও। ভাল একটা পার্টনারশিপ মুমিনুল বিসর্জন দিয়েছেন লেগবিফোর হয়ে। ৭১ রানে বাংলাদেশ হারায় তৃতীয় উইকেট।
মুশফিকুর রহিম আউট হয়েছেন স্লিপে ক্যাচ দিয়ে। ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন। স্যান্টনারের ভেতরের দিকে ঢোকা বলটা বুঝে ওঠা হয়নি তার।
বলের বাড়তি বাউন্সটা বুঝতে তালগোল পাকিয়েছেন। ছাড়বেন কি খেলবেন বুঝতেই সময় পার করেছেন। স্লিপে ক্যাচ নিতে সমস্যাই হয়নি ড্যারিল মিচেলের।
অভিজ্ঞরা যখন ভুল করেছেন, তখন নবীন শাহাদাত দিপুকে ক্ষমা হয়ত করাই যায়। লাইন বুঝতে ভুল করেছেন কিছুটা। ব্যাটে বলে হয়নি তার। লেগবিফোরে কাঁটা পড়েছেন এই ব্যাটার। স্কোরবোর্ডে ৮৮ রানে ৫ উইকেট।
মেহেদি হাসান মিরাজ কেন চাপের সময়ে অমন শট খেলতে চেয়েছেন, সেটাও প্রশ্ন করা যেতেই পারে। টপ এজড হয়ে মিচেল স্যান্টনারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন।
অথচ, দলের এমন বিপর্যয়ে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের কাছ থেকে প্রত্যাশা ছিল, আরও খানিকটা বড় ইনিংস। তবে, মিরাজ ব্যর্থ হয়েছেন, দলেরও বিপদ বাড়িয়েছেন।
নুরুল হাসান সোহান খেলতে চেয়েছেন টি-টোয়েন্টি মেজাজে। ফ্রন্টফুট অনেকটা সামনে নিয়ে পেছনে খেলার ভাবনা ছিল তার। পুরো প্ল্যানটাই ছিল অহেতুক। আর ফলাফলও দিয়েছেন হাতেনাতে। ৩ বল খেলে ডাক মেরে ফিরেছেন ক্রিজে।
আর আসা-যাওয়ার এই পুরো মিছিল অপরপাশ থেকে ধৈর্য্য নিয়ে দেখেছেন ওপেনার জাকির হাসান। এমন সময়েও মাটি কামড়ে পড়ে আছেন পুরোটা সময়।
এজাজ-স্যান্টনারদের সামলে তুলে নিয়েছেন নিজের ফিফটি। বাংলাদেশও পার করেছে ১০০ রান। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লিড এসেছে ১০৭ রানের।
এসএম