ডা. শফিকুর রহমান জামায়াতে ইসলামীর আমীর পুনর্নির্বাচিত
Share on:
ডা. শফিকুর রহমান ২০২৩-২০২৫ সেশনের জন্য সংগঠনের সদস্যদের (রুকন) প্রত্যক্ষ ভোটে দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। গত ৫ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রচার বিভাগ গণমাধ্যমকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ডা. শফিকুর রহমান ১৯৫৮ সালের ৩১ অক্টোবর মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম আবরু মিঞা ও মাতার নাম মরহুমা খাতিবুন নেসা। তার বর্তমান ঠিকানা সিলেট মহানগরীর শাহপরান থানার সবুজবাগ এলাকায়। তিনি ১৯৮৩ সালে সিলেট মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন।
তিনি ছাত্র জীবনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সিলেট শহর শাখার সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য হন। তিনি ১৯৮৬ সাল থেকে ৮৮ সাল পর্যন্ত সিলেট জেলা শাখা জামায়াতের সেক্রেটারি ও ১৯৮৯ থেকে ৯১ পর্যন্ত সিলেট জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর এবং ১৯৯১ থেকে ৯৮ সাল পর্যন্ত সিলেট জেলা জামায়াতের আমীর, ১৯৯৮ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত সিলেট মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯৮ সালে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মনোনীত হন। ২০১০ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল, ২০১১ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ও ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সংগঠনের আমীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বর্তমান সরকারের আমলে তিনি একাধিকবার কারাবরণ করেন। তিনি জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের আন্দোলনসহ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
তিনি একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান, একটি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অনেক এতিমখানা ও মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা এবং বহু দাতব্য চিকিৎসালয়, ক্লাব ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি একটি কামিল মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, গ্রীস, বেলজিয়াম, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, আরব আমিরাত, ফিলিপাইন, ব্র্রুনাই প্রভৃতি দেশ ভ্রমণ করেছেন।
তিনি ২ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তানের জনক। তার স্ত্রী ডা. আমিনা শফিক ৮ম জাতীয় সংসদের সদস্যা ছিলেন। তার ২ মেয়ে চিকিৎসা শাস্ত্রে উচ্চতর শিক্ষা নিয়েছেন এবং একমাত্র পুত্র এমবিবিএস শেষ করে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত আছেন।
এমআই