ওসির উদ্যোগে ফুটপাত দখলমুক্ত করে সরানো হলো গ্যাস সিলিন্ডার
Share on:
ফুটপাত দখল করে বসানো হয়েছে সারি সারি দোকান। এর মাঝেই বিভিন্ন জায়গায় উন্মুক্তভাবে জ্বলছে চুলা। তার পাশেই রাখা গ্যাস সিলিন্ডার।
আবার সড়কের পাশের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের গ্যাস সিলিন্ডারগুলোও বসানো হয়েছে ফুটপাতে। সবমিলিয়ে যেন এটি এক মৃত্যু কূপ — এমন চিত্র রাজধানীর নিউমার্কেট থানাধীন এলিফ্যান্ট রোড এলাকার। অথচ প্রতিদিন এই জায়গায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন কাজে আসেন হাজার-হাজার মানুষ। একটু অসাবধানতায় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে রোববার (৩ মার্চ) বিকেল থেকে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে শুরু হয় উচ্ছেদ অভিযান।
এ সময় সরিয়ে দেওয়া হয় ফুটপাতের ওপর থেকে অবৈধ দোকান-পাট। জব্দ করা হয় প্রায় ১০টির অধিক গ্যাস সিলিন্ডার। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আটক করা হয় ৮ জনকে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, গাউছিয়া মার্কেটের সামনে থেকে বাটা সিগন্যাল এবং নীলক্ষেত মোড় থেকে সাইন্স ল্যাবরেটরি মোড় পর্যন্ত হকার মুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান চলছে। এর মধ্যে ফুটপাত দখল করে স্ট্রিট ফুডের যেসব দোকান উন্মুক্তভাবে গ্যাস সিলিন্ডার জ্বালিয়ে বিভিন্ন ভাজাপোড়া তৈরি করছে তাদেরকে আটক করা হচ্ছে। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা বজায় রাখার জন্য জানানো হচ্ছে অনুরোধ।
বিষয়টি নিয়ে নিউমার্কেট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ফুটপাত, মার্কেটের রাস্তা কিংবা সরুপথে অবৈধভাবে দোকান বসিয়ে যারা বিভিন্ন ভাজাপোড়া তৈরি করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। কেননা এই এলাকাটি অত্যন্ত জনবহুল এবং জনগুরুত্বপূর্ণ। এখানে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ বিভিন্ন কাজে আসেন। সেজন্য তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আইন মোতাবেক আমরা এখানে কাজ করছি। অভিযানে মানুষের চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে এমন ৮ জনকে আমরা আটক করেছি এবং সড়কের মালামাল অপসারণ করেছি। ভবিষ্যতে আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খন্দকার জালাল উদ্দীন মাহমুদ, উপপরিদর্শক মো. সাজিব মিয়া, মো. সবুজ মিয়া, মো. রায়হান উদ্দিন ছবির উদ্দিন শিকদার, তারেক হাসান, মফিজুল ইসলাম, আরব আলী এবং কামাল উদ্দীন মুন্সি।
এনএইচ