বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে ভারতে সর্বদলীয় বৈঠকের পর যা বললেন রাহুল
Share on:
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরই জল্পনা তৈরি হয়েছিল, বিদেশি কোনো শক্তির হস্তক্ষেপেই কি এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে? কারণ কোটা সংরক্ষণের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া হয়। তবে এরপর এক দফা দাবিতে শেখ হাসিনাকে গদিচ্যুত করতে রাস্তায় নামে বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি খারাপ হয় রোববার। মৃত্যু হয় শতাধিক মানুষের। আর সোমবার শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়তে হয়। তিনি আপাতত ভারতেই আছেন। এই আবহে সোমবার ভারতে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
সেই বৈঠকেই রাহুল গান্ধী প্রশ্ন করলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতির নেপথ্যে বিদেশি কোনো শক্তির হাত আছে কি না? বিশেষত চীনের যোগ আছে কিনা, তা জানতে চান রাহুল। জবাবে জয়শংকর নাকি বলেন, বিদেশি শক্তির হাত থাকার বিষয়টি এখন উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায়, বৈঠকে রাহুল গান্ধী আরও প্রশ্ন করেন শেখ হাসিনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে ভারত সরকারের কাছে কোনো তথ্য আছে কিনা। সেটার প্রেক্ষিতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর জানান, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে হাসিনার সঙ্গে কথা হয়েছে। কিন্তু সেটা এখনই প্রকাশ্যে বলা যাবে না। এদিকে সরকারের পক্ষে এই বৈঠকে জয়শংকরের পাশাপশি ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, সংসদ বিষয়কমন্ত্রী কিরেন রিজেজুসহ আরও অনেকে।
জয়শংকর জানান, শেখ হাসিনা এর পরে কোথায় যেতে চান এবং কবে যেতে চান, তা নিয়ে তাকেই সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। এদিকে হাসিনাকে কোনো প্রকারের চাপ দেওয়া হবে না বলেও জানান জয়শংকর। হাসিনার পরিকল্পনা জানার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে নয়াদিল্লি।
এদিকে সহিংসতা শুরুর পর থেকেই কয়েক হাজার ভারতীয় সেদেশ থেকে ফিরেছেন নিজ দেশে। প্রথম দফায় দেশে ফেরা ভারতীয়দের বেশিরভাগই ছিলেন শিক্ষার্থী।
আজকের বৈঠকে জয়শংকর জানালেন, এখনো বাংলাদেশের পরিস্থিতি এমন বাজে নয় যে সরকারকে হস্তক্ষেপ করে ভারতীয় নাগরিকদের উদ্ধার করতে হবে। এদিকে বৈঠকে কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে নয়াদিল্লি। বর্তমানে বাংলাদেশে ১৩ হাজার ভারতীয় আছেন বলে বৈঠকে জানান জয়শংকর।
এমএইচ