বাখমুত পুনরুদ্ধারের দাবি ইউক্রেনের
Share on:
ইউক্রেন বলছে, তারা বাখমুতের ভূমি পুনরুদ্ধার করেছে। মাসের পর মাস পূর্বাঞ্চলীয় ওই শহরের নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার কাছে ছিল। অবশেষে এর নিয়ন্ত্রণ নিতে পারাটা কিয়েভের ক্ষেত্রে বড় অগ্রগতি বলেই মনে করা হচ্ছে। খবর বিবিসির।
কিয়েভ বলছে, তাদের সেনাবাহিনী এক সপ্তাহে ২ কি.মি (১.২ মাইল) অগ্রসর হয়েছে। অপরদিকে রাশিয়া বলছে, তাদের সৈন্যরা একটি এলাকায় পুনরায় সংগঠিত হয়েছে। কিয়েভের হাতে নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি বাখমুতে একটি গতি পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে ইউক্রেন সেখানে পাল্টা আক্রমণ চালাবে এমন প্রমাণ এখনও স্পষ্ট নয়।
এদিকে রুশ-নিয়ন্ত্রিত লুহানস্ক শহরে শুক্রবার দুই দফা বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ছবিতে দেখা গেছে শহর থেকে কালো ধোঁয়া উঠছে।
অপরদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাখমুতের একটি এলাকায় কৌশলগত কারণে তাদের সৈন্যরা নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করেছে। বলা হচ্ছে, রুশ বাহিনীর দক্ষিণ গ্রুপের ইউনিটগুলো মালোইলিনিভকা এলাকায় আরও ভালো প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান নিয়েছে।
দ্য ইনস্টিটিউট অব দ্য স্টাডি অব ওয়ারও বলছে যে, বাখমুতের ২ কিলোমিটার এলাকা সম্ভবত ইউক্রেনীয় বাহিনী পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। সম্প্রতি ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সাহায্য করার কথা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস জানিয়েছেন, বিশেষ ধরনের এই স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানো হবে ইউক্রেনে। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রায় ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে গিয়ে হামলা চালাতে পারে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যখন ব্রিটেন সফরে গিয়েছিলেন তখন তাকে এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তিনি বলেন, রাশিয়ার বোমা ও ইরানীয় ড্রোনের থেকে কিয়েভের নিরাপত্তা প্রয়োজন।
গত কয়েকদিনে ইউক্রেনের নয়টি এলাকায় হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো হলো সুমি, চেরনিহিভ, খারকিভ, খেরসন, জাপোরিঝিয়া, নিপ্রোপেট্রোভস্ক, মাইকোলাইভ, লুহানস্ক ও দনেৎস্ক। বিভিন্ন হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬ জন। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছে ১২ জন।
এমআই