tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
প্রকাশনার সময়: ০২ নভেম্বর ২০২১, ১২:০৯ পিএম

কুয়াশার চাদর নিয়ে আসছে শীত, পঞ্চগড়ে বাড়ছে তীব্রতা


কুয়াশা.jpg

প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর কুয়াশার সাথে ঠান্ডা বাতাস বইছে পঞ্চগড়ে। ভোর পাঁচটা থেকে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যায়। তখন হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাফেরা করতে হয়। কুয়াশার কারণে নদী তীরবর্তী মানুষেরা দূর্ভোগে পড়েছেন। তবে সূর্য উঠার সাথে সাথে কুয়াশা চলে যায়। বিকেল হলে রোদের তীব্রতা কমে গিয়ে ঠান্ডার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।


বাংলাদেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড় একটি শীত প্রবণ জেলা। নিয়মিতই এখানে শীতের তীব্রতা বেশি হয়ে থাকে।

হিমালয় কাছাকাছি হওয়ায় নভেম্বর মাস হতে শীতের প্রকোপ শুরু হয়েছে। তবে এবার অক্টোবর মাসের ২য় সপ্তাহে শীতের কুয়াশা শুরু হয়।

আজ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সকাল ৯ টায় মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়ায় বিরাজ করছে ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত রোববার ( ৩১ অক্টোবর) তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি।

গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশা পড়তে দেখা গেছে। ধীরে ধীরে শীতের আমেজ শুরু হচ্ছে এই জেলায়। সন্ধ্যা হলেই শীতের তীব্রতা বেড়ে যায় এই জেলায়।

প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর কুয়াশার সাথে ঠান্ডা বাতাস বইছে পঞ্চগড়ে। ভোর পাঁচটা থেকে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যায়। তখন হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাফেরা করতে হয়।

কুয়াশা.jpg

কুয়াশার কারণে নদী তীরবর্তী মানুষেরা দূর্ভোগে পড়েছেন। তবে সূর্য উঠার সাথে সাথে কুয়াশা চলে যায়। বিকেল হলে রোদের তীব্রতা কমে গিয়ে ঠান্ডার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

সংবাদ মাধ্যমকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শীত চলে এসেছে রাতের বেলায়। কুয়াশার সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস বইছে এজন্য বেশি ঠান্ডা অনুভুত হচ্ছে। নিম্ন আয়ের বিভিন্ন শ্রমজীবি লোকেরা রাতের বেলায় গরম কাপড় ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না।

কুয়াশাjpg

পঞ্চগড় পৌরসভা এলাকার মোটরসাইকেল চালক ফরহাদ হোসেন আজ সকালে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন থেকে শীতের পোশাক ছাড়া গাড়ি চালাতে পারছি না।

কুয়াশা না থাকলেও দিনের বেলাতে ঠান্ডা লাগে। রাতের বেলায় শীত। দিনের বেলায় গরম অনুভুত হচ্ছে। জ্যাকেট ছাড়া গাড়ি চালাতে পারছিনা।

এদিকে দিনের তাপমাত্রাও কমতে শুরু করেছে পঞ্চগড়ে । সপ্তাহ জুড়ে ২৮ থেকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বিরাজ করছিল পঞ্চগড় জেলায়।

গতকাল সোমবার ( ১ নভেম্বর) দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ দশমিক ৬ ডিগ্রি ।

কুয়াশা১.jpg

তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এ বছর অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি থেকেই শীতের আমেজ তৈরি হয়েছে।

মূলত হিমালয় কাছাকাছি হওয়ায় শীতের প্রকোপ পড়তে শুরু করেছে। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ধীরে ধীরে ঠান্ডার পরিবেশ বিরাজ করতে শুরু করেছে।

নভেম্বরের শুরুতে কুয়াশার পরিমান বাড়তে পারে সেই সাথে কমবে তাপমাত্রাও। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ঠান্ডা বাতাসের কারণে রাতের বেলায় ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে।

এইচএন