মেসির কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়ার আহ্বান ব্রাজিল প্রেসিডেন্টের
Share on:
প্যারিসের আলো ঝলমলে রাতে আরও একবার বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের খেতাবটা নিজের করে নিয়েছেন লিওনেল মেসি। ফিফা দ্য বেস্টের পর ফ্রান্স ফুটবলের ব্যালন ডি’ অর খেতাবটাও নিজের করে নিয়েছেন এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এটি ছিল তার অষ্টম ব্যালন। ৩৬ বছর বয়সেও মেসি যে কতটা ক্ষুরধার, তারই যেন উদাহরণ এবারের এই পুরস্কার।
নিজের ক্যারিয়ার দিয়ে বহুবারই প্রতিপক্ষের কোচ বা খেলোয়াড়ের কাছ থেকে সম্মান পেয়েছেন মেসি। তাকে সর্বকালের সেরার খেতাব দিয়েছেন তারই প্রতিপক্ষরা। তবে এবারের সম্মানটা যেন একটু বেশিই। মেসির দেশ আর্জেন্টিনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ব্রাজিল। আর সেই ব্রাজিল প্রেসিডেন্টই কিনা মেসি বন্দনায় ব্যস্ত! শুধু তাইই নয়, নিজ দেশের খেলোয়াড়দের বলছেন মেসির কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিতে।
মেসি ব্যালন ডি’ অর জেতার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার) পোস্টে এমন মন্তব্য করেন ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা। আর সেটা রাতারাতি আলোচনারও জন্ম দিয়েছে। নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে করা পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের মেসিকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নেওয়া উচিত। ৩৬ বছর বয়সে লিও, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, ব্যালন ডি'অর সহ জিতেছেন সবকিছু। মেসিকে এসব তরুণদের উৎসর্গের অনুপ্রেরণা ধরে নিতে হবে।’
ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের আমুদে স্বভাব কারও অজানা নয়। পার্টি কিংবা অন্যান্য উৎসবে প্রায়ই দেখা যায় ব্রাজিলিয়ান তারকাদের। সেদিকেও ইঙ্গিত করেছেন ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট, ‘কেউ ব্যালন ডি'অর জিততে চাইলে তাদের নিজেকে উৎসর্গ করতে হবে, তাদের আরো পেশাদারিত্ব দেখাতে হবে। পার্টি করার সাথে এটি যায় না, বাইরে রাত নষ্টের সাথেও যায় না।’
O Messi deveria servir de exemplo aos jogadores brasileiros. O cara com 36 anos, campeão do mundo, com Bola de Ouro e tudo. O Messi precisa ser inspiração de dedicação para essa molecada. Quem quiser ganhar Bola de Ouro tem que se dedicar, tem que ser profissional. Não combina…
— Lula (@LulaOficial) October 31, 2023
লিওনেল মেসি বরাবরই নিজের মাঠের বাইরের সংযত আচরণের জন্য পরিচিত। মাঠের মত মাঠের বাইরেও নিজেকে ধরে রেখেছেন আর্জেন্টিনার এই মহাতারকা। দলকে ৩৬ বছর পর এনে দিয়েছেন বিশ্বকাপ শিরোপা। অন্যদিকে ব্রাজিল আছে অধরা বিশ্বকাপের সন্ধানে। সবশেষ দুই দশক সোনালি ট্রফি ছুঁয়ে দেখা হয়নি তাদের। ২০০৭ সালে রিকার্ডো কাকার পর আর কোনবারেই ব্যালন ডি’ অর জিততে পারেননি ব্রাজিলিয়ান ফুটবলাররা। প্রেসিডেন্ট লুলার ক্ষোভটা তাই খুব একটা অমূলক না।
এনএইচ