যুদ্ধবিরতির আলোচনায় রাজি হামাস-ইসরাইল
Share on:
অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত চুক্তির একটি সংশোধিত প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে হামাস-ইসরাইল। খবর রয়টার্স ও আলজাজিরার।
গতকাল (শনিবার) হামাসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চুক্তির একটি সংশোধিত প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে হামাস-ইসরাইল।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রস্তাবে বলা হয়েছে যে মধ্যস্থতাকারীরা একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি, ত্রাণ বিতরণ ও ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা দেবে। এই নিশ্চয়তা চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
এই চুক্তিটিতে হামাস তাদের একটি দাবি থেকে সরে এসেছে। তাদের দাবি ছিল, ইসরাইল প্রথমে চুক্তিতে স্বাক্ষর করার আগে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।
গোপন এক সূত্রের বরাতে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, এই চুক্তির মধ্যে একটি ‘সম্পূর্ণ’ ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যা কয়েকশ’ ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে নির্দিষ্টসংখ্যক ইসরাইলি বন্দির মুক্তির বিষয় থাকবে। হামাস বলেছে, প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের সমঝোতা চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনার সুযোগ দিতে হবে।
শান্তি প্রচেষ্টার সাথে সম্পৃক্ত এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেছিলেন, প্রস্তাবটি ইসরাইল গ্রহণ করলে একটি কাঠামো চুক্তি হতে পারে। এতে গাজায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে নয় মাস ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারে।
আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় চলমান শান্তি প্রচেষ্টার সাথে সংশ্লিষ্ট এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেছেন, প্রস্তাবটি যদি ইসরাইল মেনে নেয়, তবে এর মধ্য দিয়ে চুক্তির রূপরেখা তৈরি করা যেতে পারে। আর এতে গাজায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যকার ৯ মাসের যুদ্ধের অবসান হতে পারে।
এর আগে হামাসের দাবিকে অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেছিল তেলআবিব। শনিবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর এক মুখপাত্রের মন্তব্য জানার চেষ্টা করেছিল রয়টার্স।
তবে তাৎক্ষণিক সাড়া পাওয়া যায়নি। গত শুক্রবার নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে বলা হয়, আগামী সপ্তাহে আলোচনা চলবে এবং দুপক্ষের মধ্যে এখনো যে মতবিরোধ রয়েছে, তার ওপর আলোচনা করা হবে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৩৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এসএম